|
|
|
|
জনসভায় বংশীবদন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দিনহাটা |
পাহাড়ে পৃথক রাজ্যের দাবিদারদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের দফায় দফায় আলোচনার যৌক্তকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টির সভাপতি বংশীবদন বর্মন। শুক্রবার রাতে দিনহাটার ভেটাগুড়িতে নবগঠিত গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টির প্রথম জনসভায় যোগ দিয়ে বংশীবদনবাবু ওই ব্যাপারে সরব হন। সেই সঙ্গে কোচবিহারের ভারতভুক্তি চুক্তির উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আলোচনায় বসার ব্যাপারে সাড়া না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। বংশীবদনবাবু বলেন, “গোর্খাদের সঙ্গে রাজ্য সরকার বার বার আলোচনা করছেন। অথচ আমাদের তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। যুক্তির নিরিখে অবশ্য আমাদের দাবিই অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। দার্জিলিঙের লালকুঠিও কোচবিহারের মহারাজাদের সম্পত্তি। সে সব অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়ার আমরা বিরোধী।” ভেটাগুড়ি ফুটবল ময়দানে আয়োজিত ওই সভায় যোগ দিয়ে বংশীবদন বর্মন একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর জামিনে মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বংশীবদনবাবুর কথায়, “নয়া সরকারের সততার মনোভাব রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও সৎ মানসিকতার।” কোচবিহারের মহারাজাদের সঙ্গে ভারত সরকারের স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রসঙ্গ তুলে বংশীবদনবাবু বলেছেন, “ওই চুক্তি অনুয়ায়ী কোচবিহার গ শ্রেণীর রাজ্য। কী করে তা জেলা হল আমরা তার সঠিক ব্যাখ্যা চাই। সেটা না পেলে আমাদের পুরানো রাজ্য ফিরিয়ে দেওয়ার কথা যে আসবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।” আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারে সব আসনে লড়াই করার কথাও এদিন ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে কোনও দলের সঙ্গে জোটে তার দল সামিল হবে কি না সে ব্যাপারে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি তিনি। বংশীবদনের কথায়, “আমাদের দাবি মেনে নিয়ে কোনও দল জোট চাইলে আলোচনা হতে পারে।” জনসভায় তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক ভাবে দাবি আদায় করতে হলে নির্বাচনে জিততে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে একজোট হয়ে জয়ের লক্ষ্যে এগোতে হবে। তাহলে জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি তো বটেই জেলা পরিষদও আমাদের দখলে আসবে।” একই সঙ্গে এ দিন মাথাভাঙার খলিসামারিতেই মনীষী পঞ্চানন বর্মার নামে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার দাবিও জানান তিনি। ওই জনসভায় জিসিপিপির সম্পাদক রাজীব রায়, আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক বংশীবদনবাবু কোচবিহার রাজ্যের দাবি ঘিরে আন্দোলনে দীর্ঘদিন জেলে বন্দি ছিলেন। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে এদিনই ছিল তাঁর নয়া দলের প্রথম সভা। ফলে এ দিনের সভা নিয়ে কৌতূহল ছিল। |
|
|
|
|
|