|
|
|
|
মমতাকে চিঠি |
ছেলের মৃত্যুর তদন্ত দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কোচবিহারের বাসিন্দা শ্যামসুন্দর কংসবণিকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রের মা অনিমা দেবী মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ফ্যক্সে চিঠি পাঠিয়ে ঘটনার তদন্তের আর্জি জানান। গত ১৭ মে বহরমপুরের বেসরকারি মিনার্ভা পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র শ্যমসুন্দরের দেহ ভাগীরথী নদী পাড় থেকে উদ্ধার হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অনিমা দেবী জানান, শ্যামসুন্দর কয়েকজনের সঙ্গে বহরমপুরের মুচিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনন্দ ঘোষের বাড়িতে ভাড়া থাকত। ভাড়াটে বন্ধুদের সঙ্গে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নেমে সে তলিয়ে যায় বলে এক যুবক ফোনে তাঁদের জানান। পরে ওই যুবক খবর দেন সন্ধ্যে নাগাদ ডুবুরিরা নৌকা নিয়ে নদী থেকে দেহ উদ্ধার করে। কিন্তু বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে জেনেছেন মাঝ নদী থেকে নয়। নদী পাড়ে সামান্য জলে ছেলের দেহ পড়ে ছিল। ওর নাকে রক্তের দাগ ছিল। ময়নাতদন্তের পরে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন শ্যামের পেটে জল ছিল না। অনিমা দেবী বলেন, “ঘটনার পরে বাড়ির প্রত্যেকে মানসিক দিক থেকে এতটাই বিপর্যস্ত ছিলাম যে বহরমপুর থানায় অভিযোগ জানানো সম্ভব হয়নি। কিছুটা সামলে ওঠার পরে গত ৫ জুন কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে আমরা নিশ্চিত ছেলেকে খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলে সমস্ত বিষয় স্পষ্ট হবে। চিঠিতে আমি সেটাই লিখেছি।” কোচবিহার শহরের সুধাংশুনগর এলাকার বাসিন্দা পরিমল কংসবণিক ও অনিমা দেবীর দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে শ্যামসুন্দর বড়। মেয়ে গৌরী দশম শ্রেণির ছাত্রী। পরিমলবাবু কাঁসা পেতলের বাসন তৈরির কাজ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামসুন্দর ২০১০ সালে বহরমপুরের মিনার্ভা পলিটেকনিক কলেজ নামে একটি বেসরকারি কলেজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়। আর্থিক সমস্যার মধ্যেও ছেলের লেখাপড়ার জন্য বাড়তি পরিশ্রম করে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন বাবা। সাঁতার না-জানায় ছোট থেকে শ্যামসুন্দর জল ভয় পেত। বাবা পরিমলবাবু বলেন, “কেউ নদীতে ডুবে মারা গেলে পেটে জল থাকার কথা। কিন্তু ময়নাতদন্তের পরে চিকিৎসরা জানান ছেলের পেটে জল ছিল না। সে জলে ডুবে মারা গেলে এটা কেমন করে সম্ভব!” শ্যামসুন্দরের ব্যবহার করা মোবাইল ফোনের একটি সিম এবং বেশকিছু কাগজপত্র ঘরে পাওয়া যায়নি বলেও পরিবারের অভিযোগ। |
|
|
|
|
|