|
|
|
|
মানিকচকে জমি বিবাদে খুন ছাত্র, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী |
নিজস্ব সংবাদাদতা • মালদহ |
কাঠা খানেক জমির অধিকার নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে মারা গেলেন মালদহ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র। তাঁর নাম মহম্মদ আব্দুল (২০)। আব্দুলের বাবা ফিরদৌস শেখও গুরুতর আহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন আব্দুলের তিন ভাই ও এক বৌদি। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের মানিকচক থানার চৌকি মিরদাদপুর এলাকায় এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পেশায় পুলিশকর্মী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ইংরেজবাজার থানার হোমগার্ড। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ও তাঁর পরিবারের অন্যেরা পলাতক। তল্লাশি চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ জানিয়েছে, জমির মালিকানা নিয়ে ওই পুলিশকর্মীর পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী ফিরদৌস শেখের দীর্ঘদিন ধরে গোলমাল চলছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে কয়েকবার চেষ্টা হলেও বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত বিতর্ক গড়ায়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ ওই পুলিশকর্মী দলবল নিয়ে সেই জমিতে বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘর তৈরি করতে যান বলে অভিযোগ। তাতে বাধা দেন ফিরদৌস শেখ। তখনই শুরু হয় বচসা, গোলমাল। আক্রান্ত পরিবারের অভিযোগ, ওই পুলিশকর্মী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা মিলে লাঠি, হাঁসুয়া নিয়ে ফিরদৌস শেখের উপরে চড়াও হন। বাবাকে বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়েন আব্দুল ও তাঁর তিন ভাই হাসিম, জাসিম ও মহসিন। আব্দুল ও তাঁর ভাইদের তখন লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। তারপরে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানো হয়। মহিলাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আব্দুলের পিসতুতো ভাই মহম্মদ সাইদুর বলেন, “ওই পুলিশকর্মী এবং তাঁর লোকজন লাঠি, হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ করেছিল। আমরাও এলাকায় ছিলাম। পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছি।”
পুলিশ জানায়, ঘটনার পরে আহতদের গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে প্রথমে মানিকচক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁদের পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। এদিন সকালে সেখানেই মারা যান আব্দুল। হাসিমকে কলকাতায় ‘রেফার’ করা হয়েছে। চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য মহিবার শেখ বলেন, “বহুদিন ধরে ওই বাস্তুজমি নিয়ে গোলমাল চলছিল। ঘটনাটি নিয়ে সালিশি সভা হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি।” |
|
|
|
|
|