|
|
|
|
অধ্যক্ষ নিগ্রহে বিচার চাই, অনড় শিক্ষকেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি ও রায়গঞ্জ |
রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহে অভিযুক্ত কর্মচারী সমিতির সদস্যদের গ্রেফতার না করলে কলেজের টিচার্স কাউন্সিল কোনও প্রশাসনিক কাজ করবে না। শুক্রবার কাউন্সিলের তরফে এ কথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
কাউন্সিলের সদস্য দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, “তপন নাগ-সহ পাঁচ জন কমনরুমে ঢুকে অধ্যক্ষকে নিগ্রহ করেছেন। এক শিক্ষকের বিরুদ্ধেও মিথ্যা অভিযোগও দায়ের করেছেন। কর্মচারী সমিতির ওই পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কাউন্সিলের সদস্যরা কোনও প্রশাসনিক কাজ করবেন না।” তবে, ছাত্র-স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কলেজে ভর্তির ফর্ম বিলি এবং প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস চালু রাখা হবে বলে তিনি জানান। এ দিন দুপুরে সমিতির সদস্য তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা তপনবাবু-সহ অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতারের দাবিতে টিচার্স কাউন্সিলের সদস্যেরা মিছিল করে জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দেন। |
|
অধ্যক্ষ নিগ্রহের পর দিন স্নাতক স্তরে ফর্ম বিলি রায়গঞ্জ
ইউনিভার্সিটি কলেজে। শুক্রবার ছবি তুলেছেন তরুণ দেবনাথ। |
রায়গঞ্জ টাউন তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তপনবাবু অবশ্য এ দিনও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। তাই আমার পরামর্শ, কলেজে সিসিটিভি বসানো হোক। তা হলে অন্তত আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ দু’বার ভাববেন!”
রায়গঞ্জের ওই কলেজে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতেও উদ্যোগী হয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমীরকুমার দাস। কলেজের কর্মচারী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং শিক্ষক প্রতিনিধিদের ডাকা হলেও তাঁরা উপস্থিত ছিলেন না। উপাচার্য বলেন, “রায়গঞ্জ কলেজে যা হয়েছে, তা বাঞ্ছনীয় নয়। ঘটনার নিন্দা করছি। কলেজে একটা বিশ্বাসের বাতাবরণ ফেরানোর চেষ্টা করছি।” অসুস্থ অধ্যক্ষ শত্রুঘ্ন সিংহ বলেন, “আমি অসুস্থ থাকায় উপচার্যের বৈঠকে যেতে পারিনি। তবে ঘটনাটি বিস্তারিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাচ্ছি।”
অধ্যক্ষ ও কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অবশ্য তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে কর্মচারী সমিতি। সমিতির সহকারী সম্পাদক দেবীপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অধ্যক্ষকে কেউ নিগৃহীত করেননি। উল্টে, আমাদের সদস্য সুব্রত চক্রবর্তীকে অধ্যক্ষই ধাক্কা দিয়েছিলেন। তবে কলেজে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে আমরা প্রয়োজনে অভিযোগ তুলে নিতে রাজি।” |
|
|
|
|
|