|
|
|
|
পুলিশের কাছে পুর চেয়ারম্যান |
রুটি-রুজি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান হোটেল কর্মীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
এক হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে ভাড়াটে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে এবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস নেতা নান্টু পাল। শুক্রবার তিনি এক প্রতিনিধি দলকে নিয়ে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজার দফতরে যান। তাঁর সঙ্গে সিপিএমের কাউন্সিলর কমল অগ্রবাল, ব্যবসায়ী সংগঠন ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস ছিলেন। নান্টুবাবু বলেন, “ভাড়াটে উচ্ছেদের চেষ্টা কোনও ভাবে মানা হবে না। প্রয়োজনে আন্দোলনে নামা হবে।” হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য কাজল সরকার দাবি করেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। কাউকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা হয়নি। ভাড়া বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।” পাশাপাশি, হোটেল কর্মীদের তরফেও ওই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কর্মীদের কয়েক জন জানান, মালিকানা হস্তান্তর বা ভাড়া বাড়ানো নিয়ে মতবিরোধ থাকলে আইন আদালতে মীমাংসা না-করে আন্দোলন করলে হোটেল বন্ধ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রুটি-রুজি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে ওই কর্মীরা উদ্বিগ্ন। কর্মীদের পক্ষ থেকে শীঘ্রই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে বিষয়টি জানিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হবে। সম্প্রতি ওই হোটেলের মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে বিতর্ক প্রকাশ্যে আসে। নতুন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণ এবং ভাড়াটে উচ্ছেদের অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠীর কোন্দল শুরু হয়। নান্টুবাবু বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ করলেও পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ সীমা সাহা তা ঠিক নয় বলে জানিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার ওই উচ্ছেদের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সেবক রোড এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে পুর চেয়ারম্যান নান্টুবাবুর পাশে সিপিএম কাউন্সিলর কমল অগ্রবাল, কংগ্রেসের অপর এক কাউন্সিলর সুজয় ঘটক সামিল হন। অন্যদিকে, হোটেল কর্তৃপক্ষের হয়ে সওয়াল শুরু করেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকারের অনুগামীরা। তদন্তে নেমে পুলিশও জানতে পারে, ওই হোটেল কেনা নিয়েও জেলা কংগ্রেস সভাপতি এবং কয়েকজন ভাড়াটের বিরোধ চলছে। ভাড়াটের মধ্যে একাধিক বড় ব্যবসায়ীও রয়েছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “অভিযোগ শুনেছি। সব কিছু খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|