ট্রাফিক আইন মানাতে গিয়ে ফের আক্রান্ত হল হাওড়া সিটি পুলিশ। অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় শিবপুর জগৎ ব্যানার্জি ঘাট রোডে এক কনস্টেবল ও গ্রিন পুলিশকর্মীকে মারধর করেন বেঙ্গল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি বা বেসু-র চার জন ছাত্র। তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ব্যক্তিগত জামিনে তাঁদের ছাড়া হয়। দু’মাস আগেও পুলিশ ও বাসিন্দাদের মারধরের অভিযোগে বেসু-র ছ’জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
পুলিশি সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় জগৎ ব্যানার্জি ঘাট রোডে যান আইন ভেঙে একটি লাক্সারি গাড়ি নিয়ে একমুখী রাস্তায় ঢুকে পড়েন বেসু-র চার পড়ুয়া। কর্তব্যরত কনস্টেবল সত্যজিৎ রায় ও গ্রিন পুলিশকর্মী আব্দুল করিম চৌধুরী গাড়িটিকে আটকান। অভিযোগ, পুলিশ ওই যুবকদের নিয়ম মেনে ঘুরে যাওয়ার কথা বলায় তাঁরা গাড়ি থেকে নেমে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আচমকাই তাঁরা সত্যজিৎ ও আব্দুলের উপরে চড়াও হন। ছুটে আসে শিবপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় চার যুবককে। সত্যজিৎ ও আব্দুলকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
১২ এপ্রিল রাতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশকে মারধর করেন বেসু-র কয়েক জন ছাত্র। তখন ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তিন পুলিশকর্মীকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। উপাচার্যের নির্দেশে গঠিত পাঁচ সদস্যের দল তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় বেসু-কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে এক ছাত্রকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং ১৭ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে সভা ডেকে ওই ছাত্রদের সহপাঠীরা আহত পুলিশকর্মী ও বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চান। তার পরেও বেসু-র কিছু পড়ুয়া এ দিন পুলিশ পেটানোয় সেখানকার ছাত্রদের আচরণ নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল। বেসু-র রেজিস্ট্রার বিমান মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ তদন্ত করছে। আমরাও খোঁজ নিচ্ছি। দু’মাস আগের ঘটনার পরেও কেন এমন ঘটল, বুঝতে পারছি না।” হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “তদন্ত চলছে।” |