ডিজিটাল কেবল পরিষেবা চালুর বিষয়ে বাস্তব পরিস্থিতি যাচাই করতে মাল্টি সিস্টেম অপারেটর (এমএসও)-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে তথ্য তলব করল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। একই সঙ্গে জানিয়ে দিল যে, বিভিন্ন মহলের চাপ থাকলেও, ওই পরিষেবা চালুর সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।
শুক্রবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে চ্যানেল প্রদর্শনকারী সংস্থা (ব্রডকাস্টার), এমএসও এবং কেবল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অম্বিকা সোনি। আলোচনা শেষে তিনি জানান, নির্ধারিত সময়সীমার মধেই পরিষেবা চালু করতে হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মতামত লিখিত ভাবে সোমবারের মধ্যে জমা দিতে এমএসওগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পর ১৫ জুন বৈঠকে বসবে টাস্ক ফোর্স।
মন্ত্রক যে বিষয়গুলি জানতে চেয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে--
• বাকি সেট-টপ বক্স লাগাতে আর কত সময় লাগতে পারে
• গ্রাহকদের অভিযোগ শোনার জন্য নির্দিষ্ট কেন্দ্র, টোল-ফ্রি (নিখরচার) ফোন নম্বর প্রভৃতির ব্যবস্থা করতে কত দিন লাগবে
• পরিষেবা প্রদান সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে এমএসও, চ্যানেল প্রদর্শনকারী সংস্থা এবং কেবল অপারেটরদের মধ্যে চুক্তি কত দূর ইত্যাদি
এ দিন আলোচনা শেষে কলকাতার অন্যতম এমএসও সিটি কেবল-এর কর্তা সুরেশ শেঠিয়া জানান, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে ডিজিটাল প্রযুক্তি চালু করতে হবে, তা স্পষ্ট জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে সে জন্য আমরা কতটা তৈরি তা-ও জানতে চায় তারা। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকেই তথ্য জানাতে ফর্ম দিয়েছে মন্ত্রক। শীঘ্রই তা পূরণ করে জমা দিতে হবে।” তাঁর দাবি, “আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির পক্ষে। তবে অল্প কিছু দিন সময় পেলে ভালো হয়। এর মধ্যে গ্রাহক সচেতনতা বাড়াতে হবে।”
শহরের আর এক এমএসও মন্থনের কর্তা সুদীপ ঘোষের অবশ্য দাবি, তাঁরা এই বৈঠক নিয়ে কিছু জানতেন না। আমন্ত্রণও পাননি। তাঁর অভিযোগ, “আমরাও ডিজিটাল প্রযুক্তির পক্ষে। কিন্তু যে ভাবে কেন্দ্র ব্যবস্থাটি পরিচালনা করছে, তাতে ধোঁয়াশা থাকছে।” অনেকেই মনে করছেন, কলকাতা এবং চেন্নাইয়ের যা হাল, তাতে শেষ পর্যন্ত ৩০ জুনের সময়সীমা কিছুটা হলেও পিছোতে হবে কেন্দ্রকে। কিন্তু অনির্দিষ্ট কালের জন্য যাতে বিষয়টি ঝুলে না-থাকে, তা নিশ্চিত করতেই চাপ বজায় রাখছে তারা। |