টুকরো খবর
ভাঙড় কলেজে ভর্তির সময় অশান্তি
শিক্ষিকা-নিগ্রহের অভিযোগে দলের পক্ষ থেকে প্রথমে ‘শো-কজ’, পরে ‘সতর্ক’ করা হয়েছে ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামকে। তার পরেও শুক্রবার, ভর্তি প্রক্রিয়া চালাকালীন ওই কলেজে গোলমালে ‘ইন্ধন’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল আরাবুল পুত্র হাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। হাকিবুল কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতাসীন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। তিনি অভিযোগ মানেননি।এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ভর্তিকে কেন্দ্র করে ছাত্র সংসদের কার্যালয়ে ক্ষমতাসীন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠী বিবাদে জড়ায়। মারামারিও বাধে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। ছাত্র সংসদের কার্যালয়ে উপস্থিত হাকিবুলই মারামারিতে ‘ইন্ধন’ জোগান বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর। তারা সে কথা মৌখিক ভাবে পুলিশকেও জানিয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হাকিবুল বলেন, “কলেজে কোনও গণ্ডগোলই হয়নি। আমি তাতে কী ভাবে জড়ালাম?” সম্প্রতি ওই কলেজে এক শিক্ষিকাকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে আরাবুল এবং হাকিবুলের বিরুদ্ধে। দু’জনেই জামিনে রয়েছেন। শুধু শিক্ষিকা-নিগ্রহ নয়, বিভিন্ন সময়ে আরাবুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগই জমা পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। অভিযোগের সত্যতা এবং নিজের ‘দায়’ স্বীকার করে আরাবুল দলীয় নেতৃত্বের কাছে শো-কজের জবাব দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

গৃহকর্তাকে বেঁধে ভূরিভোজ, লুঠ
ডাকাতি করতে এসে গুছিয়ে ‘ভূরিভোজ’ সারলো দুষ্কৃতীরা। বাড়ির মালিককে বেঁধে রেখে ফ্রিজে রাখা খাবার সাবাড় করে তাদের চোখ পড়ে ফলের ঝুড়িতে। সেখানে রাখা পাকা আম দিয়ে ভোজ শেষ করে মালপত্র নিয়ে চম্পট দেয় তারা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে, মধ্যমগ্রাম চৌমাথার কাছে যশোহর রোডের উপরে রামমোহন এস্টেটের একটি বাড়িতে। পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির বাসিন্দা সরকারি কর্মচারী উমেশপ্রসাদ বাল্মীকি বাড়িতে একা ছিলেন। উমেশবাবু পুলিশকে জানান, রাত একটা নাগাদ কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা কিছু দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢোকে। উমেশবাবুর কাছে আলমারির চাবি নিয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁর হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। একজন তাঁর গলায় চপার ধরে, অন্য জন মাথায় রিভলভার ঠেকায়। চিৎকার করলে মেরে ফেলার ভয়ও দেখায় দুষ্কৃতীরা। উমেশবাবুর দাদা দীনেশলাল বাল্মীকি জানান, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে খাওয়া-দাওয়া ও লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। নগদ সাত হাজার টাকা, সোনা-রুপোর গয়না, টিভি, ইনভার্টার, ৬টি ঘড়ি, সাইকেল, মোবাইল-সহ মোট আড়াই লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে পালায় তারা। পালানোর আগে বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে তালাও দিয়ে যায়। ভোরের দিকে কোনওরকমে মুখের বাঁধন খুলে চিৎকার করতে থাকেন উমেশবাবু। পরে প্রতিবেশীরা এসে তালা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করেন। অন্য দিকে, ওই রাতেই খড়দহের জিসি রোডের একটি বাড়িতে সদর দরজার তালা ভেঙে গয়না-সহ লক্ষাধিক টাকার জিনিস চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। গৃহকর্তা ওসমান গনি জানান, গরমের জন্য ঘরের দরজা খোলাই ছিল। ওই পরিবারের দাবি, ঘুম ভাঙার পরে ঘরে এক ধরনের গন্ধ পান তাঁরা।

সন্দেশখালিতে মারপিট, জখম ৫
কিশোরীকে ‘কটূক্তি ’ করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে মারামারি বাধল সন্দেশখালির বড় সেহেরা গ্রামে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ উভয় পক্ষের ৫ জন জখম হয়েছেন। বাড়ি ভাঙচুর ও লুঠপাটের ঘটনাও ঘটেছে। দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে থানায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই গ্রামের বাসিন্দা মহাদেব মণ্ডলের চার ছেলে। পাশাপাশি বাড়ি। মেজো ছেলে পবনের সঙ্গে সেজো ছেলে তপনের জমিজমি নিয়ে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। গত মঙ্গলবার সে সব নিয়েই দুই পরিবারের বচসা বাধলে তপনের মেয়েকে নিয়ে পবন কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। তপনের ছেলে বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা শুনলে উত্তেজনা বাড়ে। পর দিন সকালে দু’পক্ষের মধ্যে লাঠালাঠি বাধে। আহতদের খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সবিতা মণ্ডল নামে এক জনকে পরে পাঠানো হয় বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে। তন্ময় মণ্ডল এবং পবন মণ্ডলকে পাঠানো হয়েছে বারাসত মহকুমা হাসপাতালে। তপনবাবুর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী-ছেলেকে বেঁধে রেখে লোহার রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ থানায় জানানোর ‘অপরাধে’ তাঁর মেয়ে তনুশ্রীকে মারধর করেছে পবনের সঙ্গী-সাথীরা। বাড়িঘরও ভাঙচুর করা হয়েছে। পাল্টা মারধর, ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন পবনবাবুরাও। দু’পক্ষের লোকজনই পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নিয়ে বৈঠক
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় বনগাঁয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরিতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। বুধবার মহকুমাশাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের দফতরে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে (বিএডিপি) বনগাঁ শহরে প্রেক্ষাগৃহ বা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৫০ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়েছে। দেড় কোটি টাকার ওই প্রকল্পটি দু’বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কেন্দ্রটি কোথায় কী ভাবে তৈরি হবে, তা নিয়েই ওই বৈঠক হয়। বনগাঁ টাউন হলে বর্তমানে যে ‘ললিতমোহন বাণীভবন’ প্রেক্ষাগৃহটি রয়েছে, তা ভেঙে ফেলে সেখানে নতুন করে প্রেক্ষাগৃহ হবে। কাজ করবে পূর্ত দফতর। মহকুমাশাসক বলেন, “ঠিক হয়েছে, ৫০০-৭০০ আসন থাকবে প্রেক্ষাগৃহে। প্রেক্ষাগৃহের নামে পরিবর্তন ঘটানো হবে না।”

নৈশপ্রহরীকে খুন করে লুঠ ভেড়িতে
মেছোভেড়ির এক নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে, গুলি করে লুঠপাট চালিয়ে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে বসিরহাটের পূর্ব আমটোনা গ্রামে। জখম আবদুল লতিব মণ্ডলকে (৩৫) পাঠানো হয়েছিল কলকাতার একটি নার্সিংহোমে। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেই মারা যান তিনি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মহমম্মদ আলি মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ৮-১০ জনের একটি দুষ্কৃতী দল হামলা চালায় ওই মেছোভেড়িতে। লতিব রুখে দাঁড়ালেও দুষ্কৃতীরা তাকে কুপিয়ে, গুলি করে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিয়ে পালায়। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মহম্মদ আলিকে ধরে পুলিশ। লতিব তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে। পুলিশ অবশ্য জানায়, এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই।

দরজা ভেঙে লুঠ বাড়িতে
মাঝ রাতে দরজা ভেঙে দু’টি বাড়িতে ঢুকে লুঠপাটের ঘটনা ঘটল নৈহাটিতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নৈহাটির ১ বিজয়নগরের দেউলপাড়ায় অভিজিৎ মজুমদার ও বিশ্বম্ভর পোদ্দার নামে দুই বাসিন্দার বাড়িতে ঢোকে চার জনের দুষ্কৃতী দলটি। হাফ প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা বছর কুড়ির ওই দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা দু’টি বাড়ি থেকে মোট তিনটি মোবাইল ফোন, সোনার হার ও নগদ পঞ্চাশ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন রাত আড়াইটে নাগাদ দুষ্কৃতীরা সদলবলে হানা দেয়। ধৃতেরা স্থানীয় বলেই প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান।

খড়দহে তৃণমূলকর্মী খুনে গ্রেফতার দুই
খড়দহে তৃণমূলকর্মী নিতাই দাশগুপ্তের খুনের ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম, কুশ দাস ও গোপাল দাস। কুশের কাছে গুলিভর্তি পিস্তল মিলেছে। বৃহস্পতিবার রাতে খুন হন নিতাই। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, চাকরি ও নানান প্রলোভন দেখিয়ে নিতাই তাদের দিয়ে নানা কাজকর্ম করাতেন। কাজ করার পরেও সুযোগ-সুবিধা না-পেয়ে তারা বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। নিতাইয়ের প্রতি আক্রোশ তৈরি হয় তা থেকেই। তার পরেই তারা খুনের পরিকল্পনা করে।”

বাজ পড়ে মৃত্যু
বাজ পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার পাণ্ডুয়ার শিখিরা-চাপ্তা পঞ্চায়েতের ঢালিপাড়া গ্রামে। মৃতের নাম অভিজিৎ বাদুলি (১৪)। পুলিশ জানায়, বিকেল ৩টে নাগাদ মাঠে গরু নিয়ে গিয়েছিল ওই কিশোর। সে সময়েই ঘটনাটি ঘটে। পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা অভিজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.