সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তীর সামনেই তাঁর গাড়ির চালকের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দলের কাজের জন্য অর্থসংগ্রহ করতে এবং জনসংযোগ বাড়াতে সুজনবাবু শুক্রবার সকালে বারুইপুরের উত্তরভাগ এলাকায় যান। সেখানে তাঁর গাড়ির চালক রাম হালদারকে স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক চড়-থাপ্পড় মারেন এবং নেতাকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন বলে অভিযোগ।
সুজনবাবু বলেন, “পার্টি অফিসে আমার উপস্থিতিতে আমার গাড়ির চালককে মারা মানে পরোক্ষে আমারই গায়ে হাত তোলা। এ রাজ্যে কোনও অঞ্চলে গিয়ে কেউ কি কোনও রাজনৈতিক কাজ করতে পারবে না?”
সুজনবাবুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু প্রেস বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই ধরনের ঘটনা রাজ্যের মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের পক্ষে বিপজ্জনক। প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি’। পাশাপাশি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার সময় তিনি বলেন, “রাজ্য জুড়ে অনাচার চলছে! মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আক্রান্ত হচ্ছে।”
তবে তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ওই ঘটনায় আমাদের দলের কোনও কর্মী যুক্ত ছিল না। মনগড়া কথা বলে বাজার গরম করতে চাইছেন সুজনবাবু।” শোভনবাবুর আরও বক্তব্য, “সুজনবাবু সর্বত্র তৃণমূলের ভূত দেখছেন। ওঁরা গরিব মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়েছিলেন। তখন ওঁদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়েছে বলে শুনেছি। এর মধ্যে তৃণমূল-সিপিএমের কোনও বিষয় আছে বলে জানা নেই।” |