বাসের ধাক্কায় এক বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চাপড়ার সীমানগর। শুক্রবার সকালে ওই দুর্ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা বাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভাঙচুর চালান হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতেও। এ দিন দুপুরে করিমপুরগামী একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে ঢুকে পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান এক বিএসএফ জওয়ান। গুরুতর জখম হন ওই চায়ের দোকানের মালিক। বিএসএফের ১১৯ নং ব্যাটেলিয়নের ওই কনস্টেবলের নাম আনারুল হক (৩০)। বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। |
গান্ধী ঘোষ নামে আহত চায়ের দোকানের মালিককে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পরে দীঘক্ষণ ধরে করিমপুর-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কের উপর সীমানগরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও দমকল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাসটি করিমপুরের দিকে যাচ্ছিল। সেইসময় সীমানগর বিএসএফ হেড কোয়ার্টারের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাজ্য সড়কের পাশের ওই চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ে। সেই সময়ে দোকানে বসে ছিলেন ওই জওয়ান। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। গুরুতর আহত হন গান্দীবাবু। উত্তেজিত জনতা বাসটিতে এরপরেই আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাসেও তারা ভাঙচুরও চালায়। খবর পেয়েই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে যান কৃষ্ণনগরের মহকুমাশাসক (সদর) পূর্ণেন্দু মাজি। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার পরে জনতা উত্তেজিত হয়েই বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।’’ নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত শুরু করেছি। চালককে খোঁজা হচ্ছে।’’ |