|
|
|
|
|
|
|
মুখোমুখি... |
|
জীবনটাই তো একটা চৌরঙ্গী |
বইয়ের মর্যাদাব্যঞ্জক আন্তর্জাতিক খ্যাতিলাভেও যে অর্ধশতাব্দী প্রাচীন অভিমান যাচ্ছে না
মণিশংকর মুখোপাধ্যায়-এর। আপাতত ১১১ সংস্করণ সমন্বিত তাঁর বই, প্রকাশের পর
পুরস্কার পেয়েছিল কি না ভাল বাইন্ডিংয়ের জন্য। সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে মহাসাফল্যের
উল্টো পিঠের গভীর যন্ত্রণা আবিষ্কার করলেন গৌতম ভট্টাচার্য
|
পত্রিকা: উত্তমকুমারের স্যাটা বোস কেমন লেগেছিল?
শংকর: উজ্জ্বলা-তে একসঙ্গে দেখেছিলাম। বেরোনোর সময় উনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী মনে হল আপনার?’ বললাম, ‘স্যাটা বোস যে ধারণায় লিখেছি আপনি তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন’। উনি সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘এ বার কিন্তু আমি লিখে দিতে বলব। তখন আপনিই ফ্যাসাদে পড়বেন।’ উত্তম খুব রসিক ছিলেন।
পত্রিকা: ‘চৌরঙ্গী’র আগে উত্তমকে চিনতেন?
শংকর: উত্তমের সঙ্গে আলাপ ছিল। ওঁর ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতেও গেছি। শুনেছি উত্তম নিয়মিত গ্র্যান্ড হোটেলে এসে চরিত্রের জন্য আগে তৈরিও হয়েছিলেন।
তবে উনি সিনেমাটা করছেন বলে বিশেষ কোনও চাঞ্চল্য ছিল না আমার মধ্যে। ইন ফ্যাক্ট একদিনও শু্যটিংয়ে গেছি বলে মনে পড়ে না। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় পরামর্শ দিয়েছিলেন নিজের বইয়ের শু্যটিংয়ে কখনও যাবে না। আউটডোরে তো নয়ই। কেন বলেছিলেন জানি না। কথাটা মেনে চলেছিলাম।
পত্রিকা: স্যাটা বোস যে কোনও বাঙালি তরুণের স্বপ্নের বড়দা। বাস্তবের কোন চরিত্রকে দেখে লিখেছিলেন? তিনি আজ জীবিত?
শংকর: ইস্টার্ন রেলওয়েতে এক ভদ্রলোক ছিলেন। তাঁর নাম ছিল সত্যসুন্দর বসু। আমি তখন ওখানে চাকরি করি। মিড্ল র্যাঙ্কের অফিসার ছিলেন। সাহেবদের সঙ্গে খুব মিশতেন। স্কাউটিং করতেন। স্মার্ট লোক ছিলেন। কায়দা করে ইংরেজি বলতেন। সব সময় বলতেন আমার নাম স্যাটা বোস। খুব পপুলার ফিগার ছিলেন। আমি অবশ্য দূর থেকে দেখেছি। অতটা আলাপ ছিল না। আবার স্পেনসেস হোটেলে একজনকে পেয়েছিলাম, যিনি পরে গ্রেট ইস্টার্নে চলে যান। তাঁর মধ্যে একটা অভিভাবক সুলভ ব্যাপার ছিল। তাঁরও ধারণা ছিল ওঁকে ভিত্তি করে লিখেছি। ‘চৌরঙ্গী’ বার হওয়ার পর অনেকে তো ওঁকে বলতেই শুরু করে, ‘এই যে স্যাটাদা আসুন’। উনি সেটা খুব উপভোগও করতেন।
পত্রিকা: আপনার জীবনে স্যাটা বোস কে?
শংকর: আমি বেশ কয়েকজন স্যাটা বোস পেয়েছি। পরের দয়াতেই তো যা কিছু হয়েছে।
এই বইটা নিয়ে যখন হাবুডুবু খাচ্ছি, একদিন জিপিও-র সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে। মাথায় কিছু আসছে না। হঠাৎ দেখি অমিয়দা। অমিয় চক্রবর্তী তখন ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্টে কালেকটর অফ এক্সাইজ। অমিয়দা বললেন, ‘কী হে, তুমি নাকি হোটেল নিয়ে বই লিখছ? তুমি তো কিছুই জান না। কী লিখবে?’ জিপিও-র পেছনে লাল বাড়িটায় উনি বসতেন। টানতে টানতে নিয়ে গেলেন সেখানে। বললেন, ‘না জেনে যা-তা লিখবে আর তোমার জন্য আমার বদনাম হয়ে যাবে। আমি সেই ঝুঁকি নেব না।’ অমিয়দা তখনই ব্যবস্থা করে দিলেন। পরের দু’ বছর কলকাতার সমস্ত বারে বিনা অনুমতিতে যাওয়ার, বললেন, ‘এক্সাইজের লোক হয়ে সর্বত্র যাবে। খাতা দেখবে। হিসেব করবে। দরকার হলে পিক-আপ গার্লসদের সঙ্গে কথা বলবে।’ ওঁর দয়াতেই আমি কলকাতার সব বার চষে ফেলি। |
|
সাবেকি সেই স্পেনসেস হোটেল |
পত্রিকা: একটা রটনা বহু কাল আছে, যে মিসেস পাকড়াশি হলেন লেডি রাণু...
শংকর: এটাকে স্ক্যান্ডাল ভ্যালুর মধ্যে ফেলে দেখা ঠিক হবে না। এ ভাবে বলাটা অন্যায় হবে। স্ক্যান্ডাল ভ্যালুর ওপর ভাল সাহিত্য টিঁকে থাকে না। ‘চৌরঙ্গী’ বেরোবার পরেও লেডি রাণুর সঙ্গে আমার বহুবার দেখা হয়েছে। কোনও দিন কিছু বলেননি। কমিউনিস্টরাও ওঁকে লেডি রাণু বলতেন। ওঁর একটা ওল্ড ওয়ার্ল্ড ডিগনিটি ছিল।
পত্রিকা: আর আপনার নিজের চরিত্রে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়?
শংকর: ভালও লাগেনি। খারাপও না। ছেড়ে দিন, মানুষটা চলে গেছেন।
পত্রিকা: হোটেলে আপনি যে কখনও কাজ করেননিকোথাও তো বলেননি?
শংকর: কাউকে বলিনি। ইন ফ্যাক্ট হোটেলে সেই সময় পয়সা দিয়ে কখনও থাকিওনি। অ্যাফোর্ড করা সম্ভব ছিল না। তবে রাত্তিরে বাস বন্ধ হয়ে গেলে বার কয়েক মেঝেতে শুয়ে ঘুমিয়েছি।
পত্রিকা: তা হলে ভেতরের ব্যাপার এত কিছু জানলেন কী করে?
শংকর: কম বয়সের একটা সুবিধে, অবারিত গতি থাকে। সব জায়গায় সমান গ্রহণযোগ্যতা থাকে। স্পেনসেস হোটেলের মধ্যে আমি সর্বত্র ঘুরতাম। তারপর কর্মীদের কেউ কেউ চলে গেল গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে। সেখানেও ওদের সঙ্গে আড্ডা মারতে নিয়মিত গেছি।
পত্রিকা: নিত্যহরিকে কোথায় পেলেন? স্পেনসেসে?
শংকর: (হাসি) নিত্যহরি আমায় খুব জোর বাঁচিয়ে দিয়েছেন। উপন্যাস লিখতে শুরু করে একটা জায়গায় আটকে গিয়েছিলাম। আর এগোতে পারছি না। মাথায় কিছু ঢুকছে না যে রিসেপশন থেকে গেস্ট ওপরে যাওয়ার পর আমি তাকে কী করে খুঁজে পাব? ঘরে ঢুকব কী করে? আমি তো রিসেপশনিস্ট। আর ফার্স্ট পার্সনে লিখছি।
তারপর একদিন হাওড়ার যে বাড়িতে থাকতাম, আমি গভীর রাতে টয়লেটে গেছি। ফিরে এসে দেখি যে বালিশটায় শুয়েছিলাম একটা বেড়াল সেটাকে ফালা ফালা করে ফেলেছে। ওই পড়ে থাকা বালিশটা দেখে মনে হল এটা আমার সম্বল হতে পারে। ঘরের মধ্যে কী হবে নিত্যহরি তো সেটা জানতেই পারবে।
পত্রিকা: মার্কো পোলো, সুজাতা মিত্র, এদের কোথা থেকে পেলেন?
শংকর: সবই এদিক-ওদিক ছোটবেলায় দেখা। কিছু যৌবনে।
পত্রিকা: ‘চৌরঙ্গী’ উপন্যাসের শেষের আগের লাইনটার মানে কী? ‘শাজাহান হোটেলের লাল আলোগুলো তখনও জ্বলছে, নিভছে।’
শংকর: মানে জীবনের শেষ হল না এখানে।
পত্রিকা: ‘চৌরঙ্গী’ বই হয়ে বার হওয়ার পর? প্রথম দিন থেকেই জনপ্রিয়তা?
|
‘চৌরঙ্গী’র
ইংরেজি সংস্করণ |
শংকর: প্রথম দিন থেকেই শক্তিমানদের নাক-উঁচু ঘেন্না। প্রথম দিন থেকেই সমালোচনা যে রেস্টুরেন্ট আর রেস্তোরাঁর তফাত বোঝে না, সে লিখেছে হোটেল নিয়ে বই। এক নামী লেখিকা ‘দেশ’ সম্পাদককে চিঠি পাঠালেন অশিক্ষিতের উপন্যাস অভিযোগ করে। বললেন, যে লোকটা ‘ব্রেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্ট’-এর সঙ্গে ‘বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্ট’কে গুলিয়ে ফেলতে পারে সে লিখেছে হোটেল নিয়ে বই। পাঠকরা যেমন ঢেলে দিয়েছেন, সমালোচকেরাও তেমনই ঢেলে আক্রমণ করে গেছেন। মানুষ বলে কেউ মনে করেনি। কোনও পুরস্কার দেয়নি।
ভুল বললাম। একটা পুরস্কার ‘চৌরঙ্গী’ পেয়েছিল। শ্রেষ্ঠ বাইন্ডিং-য়ের জন্য (দুঃখের হাসি)।
পত্রিকা: আজ ১১১ সংস্করণ উধাও হয়ে যাওয়ার পর কী মনে হয়? বইটার মধ্যে কী সর্বজনীন আবেদন আছে যে সর্বত্র সকলকে অ্যাপিল করছে?
শংকর: কী জানি কী আছে! কিছু একটা বোধহয় আছে যেটা লোককে টানে। আমায় যখন ইংল্যান্ডে জিজ্ঞেস করা হল, এত বছর পর ইংরেজি অনুবাদ হল কেন? আমি উত্তর দিলাম, আমার জীবন শুরু হয় হাওড়া স্টেশন থেকে। সেখান থেকে আমায় ট্রেন নিয়ে যায় আসানসোল। ওখানেই থেমে ছিল। অনেক বছর বাদে পেঙ্গুইন ইন্ডিয়া আমায় নিয়ে গেল দিল্লি। দিল্লি থেকে ছড়িয়ে পড়লাম গোটা দেশে। আধুনিক বাঙালির কাছে। এর পর আমার ব্রিটিশ প্রকাশক আমায় নিয়ে গেলেন লন্ডন হয়ে গোটা পৃথিবীর কাছে। রাশিয়ায় প্রথম বেরোল। তারপর একে একে ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স।
পত্রিকা: আজ কী মনে হয় আসানসোল থেকে আরও আগেই দিল্লির ট্রেন ধরা উচিত ছিল না?
শংকর: না, আমি তো ধরেই নিয়েছিলাম ভাগ্যে আসানসোলের বাইরে যাওয়া নেই। বিদ্বজ্জনেরা তো আমায় পাত্তাই দেননি। কেউ কেউ তীব্র ব্যঙ্গ করেছিলেন ওয়ান-বুক অথর বলে। অন্নদাশঙ্কর রায়কে শান্তিনিকেতনে ‘কত অজানারে’ পাঠিয়েছিলাম। তাতে উনি লিখে দেন, ‘আপনার জীবনের প্রথম সাফল্যটি যেন জীবনের শেষ সাফল্য না হয়’। আজও জানি না আশীর্বাদ না আশঙ্কা কোন সেন্টিমেন্ট থেকে কথাটা লিখেছিলেন।
চারদিকের সমালোচনায় আমি এত ভেঙে পড়েছিলাম যে আমার মা বলেছিলেন ওয়ান-বুক অথরদের মধ্যেও তো বড় বড় নাম আছে। এত দুঃখ আর যন্ত্রণা পেয়েছিলাম যে আজও ভুলতে পারিনি। আমার মনে হয়েছিল নিজের লোকেরা এত ঘেন্না করল! কেউ আবার বলেছিল আর্থার হেইলির নভেল থেকে আমি চুরি করেছিলাম। মজার কথা হল বইটা আমি আজ অবধি পড়িনি। আর ওই উপন্যাসটাও লেখা হয় ‘চৌরঙ্গী’ লেখার চার বছর বাদে। সেই সব তিক্ততা ঝেড়ে ফেলতে পারিনি। নিজে থেকে মিটমাট করতেও যাইনি। কোথাও একটা মিড্ল ক্লাস অ্যারোগেন্স বোধহয় ছিল। কয়েক বছর আগে ভোডাফোন সংস্থা ‘চৌরঙ্গী’কে একটা পুরস্কার দেয়। আমার আর সেখানে যেতে ইচ্ছে করেনি। |
|
স্যাটা বোস-এর চরিত্রে উত্তমকুমার |
পত্রিকা: এই কনট্রাডিকশন সম্বন্ধে আজ লেখক জীবনের শেষ দিকে এসে কী মনে হয়? পাঠকসমাজ সব সময় নেয়, সমালোচক কোনও সময় নেয় না।
শংকর: কনট্রাডিকশনটা মেনে নিয়েছি। আজ নয়, অনেক দিন। ওয়ান-বুক অথর হওয়ার অপবাদটা কাটাতে পেরেছি। আমার স্কুলের মাস্টারমশাই বলতেন, এমন ভাবে লিখবে যেন রাজভবনের সামনে যে শক্ত নুড়িপাথরগুলো আছে সেগুলোর রং পাঠকের কাছে বিচি-ছাড়া-খেজুরের মতো নরম হয়ে যাবে। চিন্তাশীল হৃদয়ের জন্য সহজ আবেদনের গান বানানোই তোমার পরীক্ষা। মাস্টারমশাইয়ের কথা মেনেই সাধনা করে গেছি। কোনও মতেই কম্প্রোমাইজ করিনি।
এখন সামনে আরেকটা পরীক্ষা। মরে যাওয়ার পর পাঁচটা বছর যেন টিকে থাকতে পারি। আর সব পেশার লোকদের মৃত্যুর পরে মৃত্যু আছে। লেখক সমাদৃত হলে তার নেই। বাংলা সাহিত্যে দেখুন না, বেস্টসেলার লেখকরা প্রায় সবাই মৃত। আমার খালি মনে হয়, জীবদ্দশায় যে যা বলেছে, বলছে। মৃত্যুর পর পাঁচটা বছর আমার পরীক্ষা।
মিটারটা তো তখনই ডাউন হবে।
পত্রিকা: ‘চৌরঙ্গী’তে একটা গান আছে‘বড় একা লাগে, এই আঁধারে/ মেঘের খেলায়, আকাশ পারে’। এটা কি মণিশংকর মুখোপাধ্যায়ের জীবনেরও গান?
শংকর: নিঃসঙ্গতা কোথাও একটা রয়ে গেছে খুব সত্যি কথা। সেটাকে তীব্র অভিমানও বলতে পারেন। এখন মনে হয় না থাকলেই ভাল হত। যা পেয়েছি সেটাই বা কম কী? আবার পর মুহূর্তেই মনে হয়, এখানকার লোকরা কোনও সৃষ্টি সম্পর্কে সাহেবরা ভাল না বললে হতাশ হয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে এ জিনিস হয়েছে, সত্যজিৎ রায়ের ক্ষেত্রে হয়েছে। সাফল্যের সিলমোহর যেন ইওরোপকেই দিতে হবে।
পত্রিকা: সাহিত্যিকদের মধ্যে কি আপনার কোনও বন্ধু নেই?
শংকর: অনেকে ছিলেন, চলে গেছেন। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈয়দ মুজতবা আলি, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, বনফুল, বিভূতি মুখোপাধ্যায়।
পত্রিকা: আপনি যাঁদের নাম বলছেন, এঁরা তো কেউ আপনার জেনারেশনের নন। আপনার প্রজন্মের লেখকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব নেই কেন?
শংকর: খুব বেশি যাতায়াত ছিল না। আসলে সেই হাওড়া থেকে বাসে-ট্রামে যাতায়াত করে, চাকরি করে হয়ে ওঠেনি।
পত্রিকা: সুনীল, শীর্ষেন্দু, বুদ্ধদেব, সঞ্জীবএই সব আড্ডায় আপনি কখনও নেই কেন? ‘বুধসন্ধ্যা’-তেই বা আপনার কখনও পা পড়েনি কেন?
শংকর: আমি একটু লাজুক লোক। এড়িয়ে গেছি বোধহয়। এ সব নিজে থেকে যেতে-টেতে হয়। কোনও দুঃখ নেই। দুঃখ হয় যখন ‘চৌরঙ্গী’ শ্রেষ্ঠ বাইন্ডিংয়ের জন্য পুরস্কার পায়।
পত্রিকা: অকাদেমি জাতীয় পুরস্কার কখনও পাননি বলে আক্ষেপ আছে? মনে হয় প্রাপ্য দেওয়া হয়নি আপনাকে?
শংকর: যখন মনে হয় সৈয়দ মুজতবা আলি, বিমল মিত্র, শরদিন্দুএঁরা অকাদেমি পাননি, তখন আর খারাপ লাগে না। তা ছাড়া পুরস্কার তো চেয়ে পাওয়া যায় না। এটা তো বিয়ের যৌতুক নয় যে জোর করে কেউ দাবি করবে।
অবশ্য এখানে তো যৌতুকই হয়ে গেছে। একটা বড় পুরস্কার পাওয়ার জন্য, একজন লেখক নাকি শুনেছি বলেছিলেন, যিনি সদ্য সেকেন্ড বিয়ে করেছেন। যে এটা না পেলে বউয়ের কাছে প্রেস্টিজ থাকছে না। আরেকজন বলেছেন খুব অসুস্থ, জীবন থাকতে থাকতে পেয়ে গেলে ভাল হয়।
পত্রিকা: দিনের শেষে জীবনটা কি তা হলে একটা ‘চৌরঙ্গী’?
শংকর: জীবনটাই ‘চৌরঙ্গী’। তা ছাড়া আর কী? সংসারে যে যত বেশি থাকবে, যে যত বেশি দেরি করবে তাকে তত বেশি বিল মিটিয়ে যেতে হবে। |
|
|
|
|
|