দক্ষিণ কলকাতা
সমাধানে উদ্যোগ
বিদ্যুতে জোর নেই
তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। কিন্তু পাখা ঘুরছে আস্তে আস্তে। পাম্প ঠিকমতো চলছে না। হাঁসফাঁস গরমে চালানো যায় না এসিও। আলোও জ্বলে টিমটিম করে। অভিযোগ, বেহালার সূর্যসেন নগর, সাঁপুইপাড়া, জুবিলিপার্ক, দক্ষিণ বেহালা রোড, ‘১৮ডি’ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুতের কম ভোল্টেজের জন্য এই সমস্যাগুলি দীর্ঘ দিন ধরে হচ্ছে।
বাসিন্দারা জানান, সমস্যার কথা সিইএসসি-র ওয়েস্ট সাবার্বান ডিস্ট্রিক বিভাগে জানান হয়েছিল। সিইএসসি-র তরফে জানানো হয় যে এলাকায় একটি নতুন ট্রান্সফর্মার না বসালে এই সমস্যা মিটবে না। এর পরে বাসিন্দারা নতুন ট্রান্সফর্মার বসানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে একটি আবেদন পত্র জমা দেন। এর পরে জানানো হয় ট্রান্সফর্মার বসানোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা লাগবে। জায়গার ব্যবস্থা করে সিইএসসি-র সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবার আবেদন জানানো হয়। তার পরে আর কিছু হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা শুভ্রা বড়ুয়া বলেন, “বিদ্যুৎ থেকেও নেই। ভোল্টেজ এতই কম যে ছোটদের পড়াশুনো করতে প্রচণ্ড অসুবিধে হয়। গরমে খুবই সমস্যা হচ্ছে।” স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় সূর্য সেন বিদ্যাপীঠ সংলগ্ন মাঠে নতুন ট্রান্সফর্মার বসানোর জন্য সিইএসসি-কে বলা হয়েছিল। এর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের ‘নো অবজেকশন লেটার’ও সিইএসসি-র সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও কিছুই হয়নি।
১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের শ্যামাদাস রায় বলেন, ‘‘আশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”
ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, কম ভোল্টেজের জন্য সন্ধ্যার পরে পথ চলতে খুব অসুবিধে হয়। বাতিস্তম্ভে আলো টিমটিম করে জ্বলে। এসি বসিয়েও চালানো যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই ভোল্টেজ কমে-বাড়ে। এতে অনেক টিভি, রেডিও, ফ্রিজ খারাপ হয়ে গিয়েছে। সিইএসসি সূত্রে খবর, গত বছরের চেয়ে এ বছর সিইএসসি এলাকায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ চাহিদা মিটিয়েও ঠিকমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখার জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে।
সিইএসসি-র জেনারেল ম্যানেজার সুজিত পোদ্দার বলেন, “বেহালার ওই এলাকায় ট্রান্সফর্মার বসানোর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে কাজও এগিয়েছে। খুব দ্রুত ওখানকার সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।” রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত বলেন, “বিষয়টি সর্ম্পকে আমি সবিস্তারে খোঁজ নেব। বাসিন্দাদের এই সমস্যার যাতে তাড়াতাড়ি সমাধান করা যায় তার জন্য চেষ্টা করব।”

ছবি: পিন্টু মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.