রাশিয়া-৪ (জাগোয়েভ ২, শিরোকভ, পাভলুচেঙ্কো)
চেক প্রজাতন্ত্র-১
(পিলাজ) |
আগের কোচ ছিলেন গাস হিডিঙ্ক। এখন ডিক অ্যাডভোকাট। পরপর দুই ডাচ কিংবদন্তির কোচিংয়ে খেলার সুফল রুশদের ফুটবলে। উইং দিয়ে আর্শাভিন এবং জাগোয়েভের মসৃণ দৌড়, সঙ্গে মাঝমাঠে অসংখ্য পাসিং বৈচিত্র্যরুশদের খেলায় ফুটে উঠল ডাচ স্টাইল। তাঁদের চারটে গোল তৈরি অসংখ্য পাসের বুননে। ডাচ বা স্পেনীয়রা যেমন খেলেন। তার সঙ্গে যোগ হবে শুটিং দক্ষতা। প্রথম দিনই রুশদের ফুটবলে বিস্ফোরণের ইঙ্গিত। চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ থেকে রোক্লভের দূরত্ব খুব কম। গ্যালারিতে রুশদের থেকে চেকরাই বেশি। তাঁদের সামনে বারোস, রসিস্কিদের শিক্ষানবীশদের পর্যায়ে নামিয়ে আনলেন আর্শাভিন, শিরোকভ, জাগোয়েভরা। টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত এই টিমটা। আর্শাভিনকে দেখে মনে হল, নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন। জাগোয়েভ? টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তাঁকে বলা হচ্ছিল, ইউরোর অন্যতম সেরা। এ দিন তিনি বোঝালেন, রোনাল্ডো-রুনিদের সঙ্গে তাঁকে নিয়েও আলোচনা হবে। ২৫ মিনিটেই ছিল ২-০। কার্জাকভ অনেকগুলো সিটার নষ্টের পরে চেকরা প্রতিআক্রমণে ১-২ করেন। তাঁদের ফেরার একটা রাস্তা তৈরি হচ্ছিল বিরতির শুরুতে। পাভলুচেঙ্কো নামার পরেই রুশরা ম্যাচটা শেষ করে দিল। পরপর দুটো গোল। সেই অসংখ্য পাস এবং দুর্দান্ত শুটিং। রুশদের নিয়ে অনেক বাঘা কোচকেই চিন্তা করতে হবে!
|
ইউরো কাপের প্রথম ম্যাচেই ফ্রান্সের সামনে ইংল্যান্ড। সোমবারের সেই ম্যাচের আগে ফরাসি মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক রিবেরি জানাচ্ছেন, পুরনো শত্রুর বিরুদ্ধে তাঁরা ঠান্ডা মাথায় খেলতে চান। রিবেরি অবশ্য মোটেই ভয় পাচ্ছেন না ইংল্যান্ডকে। বলছেন, “ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আমাদের দেশের প্রচুর ফুটবলার খেলে। ওরা ইংলিশ ফুটবলারদের ভাল ভাবে চেনে। আমরা যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচটা খেলব। কোনও চাপ আগে থাকতেই নিজেদের উপর নিতে চাই না। এখনও হাতে ক’দিন সময় আছে।” কথা গুলো বলার পাশাপাশি রিবেরি ব্যাখ্যা করেছেন ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য রণকৌশল। তাঁর কথায়, “আগের দিন ম্যাসাজ নিতে নিতে ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম ম্যাচটা দেখেছি। ওরা রক্ষণ জমাট রেখে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলছিল। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে ফরোয়ার্ডে হয় ক্যারল না হলে ওয়েলবেককে খেলাবে। দুু’জন দু’রকম। ওয়েলবেক স্কিলের জোরে বল নিয়ে এগোয়। আর ক্যারল অনেক বেশি শারীরিক ফুটবল খেলে। সবই আমাদের মাথায় আছে।”
|
ইউরো কাপ শুরুর আগে পোল্যান্ডে শুভেচ্ছা পৌঁছে গেল পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের। রেডিও ভাটিকানের মাধ্যমে। যেখানে পোপ বলেছেন, ফুটবল খেলার মাধ্যমে ভাতৃত্ব ও ভালবাসার জন্ম হয়। পোপের এই বার্তা পোল্যান্ডে পৌঁছল একেবারে সঠিক সময়ে। ক্রাকাওয়ে নেদারল্যান্ডসের ক্যাম্পে একদল লোক বর্ণবৈষম্য মূলক কথা বলেছিলেন ডাচদের উদ্দেশে। তার পরই পোপের বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও ক্রাকাওয়ের ওই ঘটনা নিয়ে কোনও তদন্ত উয়েফা করবে না বলে জানিয়েছে। ৮৫ বছরের পোপ বেনেডিক্টের বার্তাটি ছিল, “ফুটবলের মতো টিম গেম এমন একটা খেলা যেখানে এক জন অন্য জনকে সম্মান জানাতে শেখে। এমনকী বিপক্ষ হিসাবেও সম্মান করে। কী ভাবে অন্যের জন্য আত্মত্যাগ করতে হয়, কী করে টিমের সবাইকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হয়, সেগুলোও ফুটবল শেখায়।” সেই সঙ্গে আরও যোগ করেন, “খেলাটা এমন একটা কিছু যা ব্যক্তিগত ইগোকে উপেক্ষা করে। তার পরিবর্তে ভাতৃত্ব ও ভালবাসা নিয়ে আসে।” |