পোল্যান্ড-১ (লেবানদস্কি)
গ্রিস-১
( সালপিঙ্গিদিস) |
রুশদের দাদাগিরি মুছে গিয়েছে বহুদিন। লেখ ভালেন্সাও ক্ষমতার বাইরে, অতীত হয়ে গিয়েছেন। পোল্যান্ডের ফুটবল এখন সম্পূর্ণ দক্ষিণপন্থী। ডান দিক দিয়ে অধিকাংশ আক্রমণ। অধিকাংশ সেন্টার।
প্রথমার্ধে পোল্যান্ডকে দেখে একটা সময় মনে হচ্ছিল, জার্মান চ্যাম্পিয়ন বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড খেলছে। দুই ক্লাবের সাইডব্যাক পিজসেক, মিডফিল্ডার ব্লাজসিকোস্কি ডান দিক দিয়ে উঠছিলেন। আর সেন্টারগুলো হচ্ছিল স্ট্রাইকার রবার্ট লেবানদস্কির দিকে। ও ভাবেই ১৭ মিনিটে পোল্যান্ডের ১-০। লেবানদস্কির হেড নেওয়ার স্টাইলেই নায়ক হওয়ার প্রতিশ্রুতি।
ইউরোর প্রথম দিনের ১-১ ড্র ম্যাচটা থেকে উজ্জ্বল উদ্ধার বোরুসিয়ার লেবানদস্কি হলে অন্ধকার অধ্যায় আর্সেনাল কিপার সেজনি। ওয়েঙ্গারের দলের হয়ে ই পি এলে বাজে খেলেছেন। ৮ গোল হজম করেছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচে। লিভারপুলের বিরুদ্ধে পেনাল্টি সেভ, জার্মানির বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে অলিভার কানের প্রশংসা আদায়--দুটো ঘটনায় ৮ গোলের গল্পটা লোকে সবে ভুলছিল। এ দিন ফের সব উঠে এল। সেজনি বিরতির পরে বিশ্রী গোল খেলেন। কিছুক্ষণ পরে আরও মারাত্মক ভুল। ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে অযথা ফাউল করে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে গেলেন।
গ্রিসের ফুটবল দেখে প্রথম দিকে বুঝতে কষ্ট হচ্ছিল, কী করে তারা বিশ্বের ১৫ নম্বর দল হয়! দেশটার অর্থনৈতিক দৈন্য ফুটে উঠছিল দলের ফুটবলে। দশ জনে হওয়ার পরে তাদের বিখ্যাত দৃঢ়তা, টিমগেম ফিরে এল।
আট বছর আগে অটো রেহাগলের গ্রিস যা দেখিয়ে গিয়েছিল। ওই সময় এক একটা ম্যাচে ৭ ডিফেন্ডার বা ৮ ডিফেন্ডার নামিয়ে ৮-১-১ ছকেও খেলেছে গ্রিস। এখন তাদের ৪-৩-৩ ছকে অনেক আক্রমণের রাস্তা। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের রাস্তার চাবি তারা ফিরে পেল। পোল্যান্ড দশ জনে হয়ে পড়ার পরে তো আরও। সেজনির বিকল্প কিপার টাইটন সেভ করে দিলেন কারাগৌনিসের পেনাল্টি কিক। নইলে গ্রিস ২-১ এগোতে পারত।
ইউরোর গোল লাইনে এখন বাড়তি অতিরিক্ত সহকারী রেফারি। রেফারিং বিতর্ক কমাতে। কিন্তু বিতর্ক কমল কই? স্প্যানিশ রেফারি প্রথমার্ধে পাপাস্থাতোপৌলুসকে লাল কার্ড দেখালেন। সামান্য বাদে গ্রিসের পেনাল্টির আবেদন বাতিল করলেন। দুটো সিদ্ধান্ত ঘিরেই অনেক প্রশ্ন উঠছে, উঠবে। |