|
|
|
|
কাজে দেরি, প্রকল্প ছাড়তে চায় এডিবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বর্ষা কবে আসবে সকলে সেই আশায়। অথচ সেই বর্ষার মুখে দাঁড়িয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের (এডিবি) ঋণ সাহায্যে চলা কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে (কেইআইপি) বৃষ্টির জল নিষ্কাশনের কর্মসূচি থমকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অবস্থা সামাল দিতে ওই প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে এডিবি-র কাছে আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে শহরের জমা জল দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য বিভিন্ন কাজ শুরু হয়েছিল ১০ বছর আগে। কিন্তু ওই প্রকল্পটির মেয়াদ আগামী ৩০ জুনের পরে আর বাড়ানো যাবে না বলে কলকাতা পুরসভাকে সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছে এডিবি।
এই অবস্থায় সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার জরুরি বৈঠক করেন। মানসবাবু পরে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন নিয়ে তাঁরা তিন জন এ ব্যাপারে সরাসরি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঠিক হয়েছে। কারণ, কেইআইপি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য এডিবি-র কাছে আনুষ্ঠানিক আর্জি জানানোর এক্তিয়ার রয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকেরই।
মানসবাবু বলেন, “২০০১ সালে কেইআইপি প্রকল্পের জন্য এডিবি ঋণ সাহায্য মঞ্জুর করে। ওই প্রকল্পে টালিগঞ্জ, পঞ্চান্নগ্রাম, মণিখালি, চড়িয়াল, কেওড়াপুকুর এবং পূর্ব কলকাতা জলাভূমিতে নিকাশি চ্যানেলগুলির সংস্কার থেকে শুরু করে সেতু ও পাম্পিং স্টেশন তৈরির কথা ছিল।”
নিকাশি খালগুলির সংস্কার এবং সেগুলির উপরে সেতু তৈরির কাজ মোটামুটি শেষ হলেও মণিখালি, কেওড়াপুকুর ও চৌবাগায় তিনটি পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজই এখনও ৫০ শতাংশের মতো বাকি। কাজ শেষ করতে আরও ৪৮ কোটি টাকা লাগবে। ঠিক মতো কাজ এগোলে ওই টাকা এডিবি-র কাছ থেকেই মিলত। এর আগে ১৮০০ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের মেয়াদ বেশ কয়েক বার বাড়ালেও এ বার এডিবি স্পষ্ট জানিয়েছে, ৩০ জুনের পরে আর মেয়াদ বাড়বে না।
সেচমন্ত্রী জানান, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এই প্রকল্প রূপায়ণে নানা বিচ্যুতি ছিল। সে জন্যই প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গিয়েছে। ওই প্রকল্প রূপায়ণের ভার সেচ দফতরের। তাই বাম জমানায় ওই প্রকল্প রূপায়ণে সেচ দফতরের আধিকারিকদের কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা খুঁজে বার করতে তিনি সেচসচিবের নেতৃত্বে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্টে কারও গাফিলতি ধরা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|