টুকরো খবর
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষক সুভাষ চৌধুরী প্রয়াত
বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষক ও সমালোচক সুভাষ চৌধুরী প্রয়াত হলেন। শুক্রবার ভোরে, একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। ১৯৩৩-এ বিহারে জন্ম সুভাষ চৌধুরীর। বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবন থেকে পড়াশোনা শেষ করে পুরুলিয়ার বেসিক ট্রেনিং কলেজ ও পরে সরিষা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তিনি। ১৯৬৫-তে যুক্ত হন বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগের স্বরলিপি দফতরে। সেই সময়েই প্রতিষ্ঠা করেন ইন্দিরা সঙ্গীত শিক্ষায়তন। সেখানে তাঁর শিক্ষকতায় তৈরি হয়েছেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের বহু বিশিষ্ট শিল্পী। সঙ্গীত শিক্ষক ও পরিচালক হিসেবে যুক্ত ছিলেন বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গেও। রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে গবেষণা ও সমালোচনাও করেছেন। চর্চা করেছেন রবীন্দ্রনাথের গান প্রকাশের ইতিহাস নিয়েও।

দৌড়-মৃত্যু নিয়ে তদন্ত দাবি কমিশনে
পুলিশে চাকরির পরীক্ষার ‘দৌড়ে’ অভিষেক পালের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে তদন্তের দাবি জানাল গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এপিডিআর)। শুক্রবার এপিডিআরের রাজ্য কমিটির চার সদস্য এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে করেন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রঞ্জিত শূর বলেন, “প্রচণ্ড গরমে এই অমানবিক কর্মসূচি আগেই বন্ধ করা উচিত ছিল। অভিষেকের মৃত্যু নিয়ে তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পরিবার এবং অসুস্থ অন্যদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।” অশোকবাবু বলেন, “ওঁরা আমার কাছে এসেছিলেন। বিভিন্ন দাবি জানিয়ে একটি চিঠি কমিশনে জমা দিয়েছেন। চিঠিটি দেখব।” কলকাতা পুলিশে চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে বুধবার অভিষেকের সঙ্গেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুরেশ ভুজনও। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁরও শারীরিক অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক। সংজ্ঞা ফিরছে না, প্রস্রাবও বন্ধ।

মৃতদেহ উদ্ধার
বন্দর এলাকার একটি ঝুপড়ি-হোটেল থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ মিলল। বৃহস্পতিবার রাতে, কোলবার্থ রোডে। মৃতের নাম রমেশকুমার সরোজ (২৭)। ডিসি (বন্দর) মেহবুব রহমান বলেন, “রমেশের মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। আততায়ী রমেশের পরিচিত বলে মনে হচ্ছে।” পুলিশ জানায়, রমেশ এলাকায় দাঁড় করানো ট্রেলারগুলি পাহারা দিতেন। কাজ শেষে ফুটপাথেই শুতেন। সেখানে ঘুমোতেন এক বৃদ্ধও। তিনি পুলিশকে জানান, ওই রাতে বৃষ্টি পড়ায় তাঁরা স্থানীয় একটি ঝুপড়ি হোটেলে যান। রাত ১০টা নাগাদ এক ব্যক্তি চালকের খোঁজে রমেশের কাছে আসে। খোঁজ না পেয়ে চলে যায়। রাত দু’টো নাগাদ রমেশের চিৎকারে ঘুম ভাঙে বৃদ্ধের। পুলিশকে তিনি জানান, রমেশের মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল। বৃদ্ধকে জেগে উঠতে দেখে আততায়ী পালায়।

দমদম জেলে বন্দির অপমৃত্যু
দমদম সেন্ট্রাল জেলে এক বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বাপি হালদার (২৫)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। বধূহত্যার দায়ে তার যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল। জেল সূত্রের খবর, বাপি জেলের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ২১ নম্বর সেলে বন্দি ছিল। বৃহস্পতিবার বেলা ২টো নাগাদ অন্য বন্দিরা গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছে বাপি। ব্যারাকপুরের ম্যাজিস্ট্রেট এবং দমদম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। আইজি (কারা) রণবীর কুমার জানান, মানবাধিকার কমিশনের নিয়ম মেনে তদন্ত হবে।

এসি মেট্রোয় বিভ্রাট
স্টেশন ছেড়েই বিগড়ে গেল এসি মেট্রো। তবে টানেলে নয়, এ বার থামল প্ল্যাটফর্মে। দমদমগামী ট্রেনটি খালি করে ফেরানো হল কারশেডে। নষ্ট হল প্রায় চোদ্দো মিনিট। হয়রান হলেন যাত্রীরা। শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪১ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মহানায়ক উত্তমকুমারে। মেট্রো সূত্রে খবর, নেতাজি সুভাষ ছেড়েই চালক বুঝতে পারেন ট্রেনে যান্ত্রিক ত্রুটি আছে। খবর যায় কন্ট্রোলে। মেট্রোর মুখপাত্র প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য ট্রেনটি আর চালাতে চাননি চালক।” যাত্রীদের অভিযোগ, সিগন্যালের উন্নতি নিয়ে ফলাও করে প্রচার করা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে চলতে চলতে পুরনো হয়ে গিয়েছে রেকগুলি। সেগুলি না পাল্টালে মেট্রোর যাতায়াতে উন্নতি হচ্ছে না।

জলের জন্য বিক্ষোভ
শহরে পানীয় জলের সঙ্কটের অভিযোগ তুলে শুক্রবার মেয়রের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কলকাতা পুরসভার বাম কাউন্সিলরেরা। পুরসভার বিরোধী নেত্রী রূপা বাগচির অভিযোগ, উত্তর থেকে দক্ষিণে অধিকাংশ ওয়ার্ডে পানীয় জল মিলছে না। পুর-প্রশাসনকে জানিয়েও সুরাহা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, “শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০টি করে টিউবওয়েল বসানোর দাবি জানানো হয়েছে। জল সরবরাহের সময় বাড়ানোরও আবেদন জানানো হয়েছে।” মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বিরোধীদের দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, “ওঁরা নির্দিষ্ট করে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। আমি বলেছি, কোথায় সঙ্কট তা জানান। সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মেয়র জানান, এই গরমে জলের প্রয়োজন বেশি। তাই সমস্যা কিছুটা হবেই। সব তো সমাধান করা যাবে না।

‘চুরি’, ধৃত পরিচারিকা
চুরির অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার, টালিগঞ্জেরই বাওয়ালি মণ্ডল রোড এলাকা থেকে। পুলিশ জানায়, টালিগঞ্জ থানার ভবানন্দ বসু রোডের একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন নমিতা নামে ওই মহিলা। বাড়ির মালিক দেবস্মিতা বসুর অভিযোগ, মাসখানেক ধরে কাজে আসছিল না নমিতা। দিন কয়েক আগে তিনি দেখেন আলমারি থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা ও কয়েক ভরি সোনার গয়না উধাও। দেবস্মিতাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন তার বাড়ি থেকে নমিতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সোনার গয়না ও কয়েক হাজার টাকা।

দু’টি অপমৃত্যু
পৃথক দু’টি ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক মহিলা-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে শ্যামপুকুরের রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিটে। এলাকার একটি বাড়ি থেকে স্বপন দাস (৫০) নামে এক ব্যক্তির অগ্নিদগ্ধ দেহ মেলে। পুলিশ জানায়, দু’টি কিডনি খারাপ হওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন স্বপনবাবু। সেই কারণেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে অনুমান পুলিশের। দ্বিতীয় ঘটনাটি বড়তলা থানা এলাকায় কৈলাস দাস লেনের। একটি বাড়ির রান্নাঘর থেকে যমুনা ঘোষাল (৪২) নামে এক গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ দেহ মেলে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, যমুনাদেবীও অবসাদের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন। দু’জনকেই আরজিকরে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

কুয়োয় বৃদ্ধের দেহ
পাতকুয়ো থেকে মিলল এক বৃদ্ধের দেহ। শুক্রবার, আড়িয়াদহে। মৃতের নাম ফণীভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (৮১)। বাড়ি আড়িয়াদহের বিন্ধ্যবাসিনীতলায়। পুলিশ জানায়, কিছু দিন আগে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের অনুমান, অবসাদের জেরেই আচমকা প্রতিবেশীর বাড়ির কুয়োয় ঝাঁপ দেন বৃদ্ধ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

গাঁজা উদ্ধার, ধৃত ৩
প্রিন্সেপ ঘাটের কাছে স্ট্র্যান্ড রোড থেকে শুক্রবার কয়েক লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক-সহ ৩ পাচারকারীকে ধরল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম রাসমণি দেবী, সত্যনারায়ণ রায়, রাজীবকুমার রায়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.