পরমাণু চুক্তি রূপায়ণ-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারত ও মার্কিন সরকারের মধ্যে তৈরি হয়েছে জটিলতা। পাশাপাশি রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-সহ গোটা অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার দায়। এই পটভূমিতে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে আগামী ১৩ তারিখ শুরু হবে কৌশলগত বৈঠক। বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণর নেতৃত্বে ওই বৈঠকে যোগ গিতে আমেরিকা যাচ্ছে মনমোহন সরকারের প্রতিনিধি দল।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ভারতের প্রতিবেশী কূটনীতি এই দু’ক্ষেত্রেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে আসন্ন বৈঠকটি। মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কৃষ্ণ।
অসামরিক পরমাণু চুক্তি দ্রুত রূপায়ণ করতে চায় ভারত। ওয়াশিংটনকে সেই বার্তাই দিতে চেষ্টা করবে নয়াদিল্লি। আমেরিকার অভিযোগ, যে ভাবে পরমাণু দায়বদ্ধতা বিল ভারত পাশ করিয়েছে তাতে মার্কিন সংস্থাগুলির পক্ষে এই শিল্পে বিনিয়োগ করা কার্যত অসম্ভব। কৃষ্ণ বোঝানোর চেষ্টা করবেন, মনমোহন সরকার চেষ্টা করছে সর্বদলীয় ঐকমত্য তৈরি করে পরমাণু দায়বদ্ধতা বিল সংশোধন করতে। তবে তাতে সময় লাগবে। খুচরো ব্র্যান্ডে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়েও হিলারিকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করা হবে।
মে মাসে হিলারি ক্লিন্টন ভারত সফরে এসে আলোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছিলেন, ইরানকে আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য ভারতকে ইতিবাচক ভূমিকায় দেখতে চায় ওয়াশিংটন। আসন্ন বৈঠকে কৃষ্ণ মার্কিন নেতৃত্বকে এ কথাই বলবেন যে ভারত ইতিমধ্যেই তেহরান থেকে তেল আমদানি কমিয়েছে। কিন্তু ইরানের সঙ্গে পুরোপুরি বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করাও সম্ভব নয়। |