আফগানিস্তানে মন্ত্রিদের সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ১৪ তারিখ কাবুল যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রথামাফিক যাওয়ার কথা ছিল বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণর। কিন্তু ওই সময় তিনি আমেরিকা এবং কিউবা সফরে থাকবেন। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, কৃষ্ণর অনুপস্থিতিতে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে কাবুলে পাঠিয়ে আফগানিস্তানের উদ্দেশে ইতিবাচক বার্তাই দিতে চাইছে মনমোহন সরকার।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত ধারাবাহিক ভাবে এ কথাই বলে চলেছে যে আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে তারা নিজেদের ভূমিকা আরও বাড়াতে চায়। দক্ষিণ এশিয়া তথা ভারতের সার্বিক নিরাপত্তার সঙ্গে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া সরাসরি ভাবে যুক্ত বলেই মনে করে সাউথ ব্লক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে খবর, সে দেশে তালিবান এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী। আফগানিস্তানের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকাকে বরাবরই সন্দেহের চোখে দেখেছে ইসলামাবাদ। কিন্তু পাক বিরোধিতাকে আদৌ আমল দেয়নি সাউথ ব্লক। সম্প্রতি আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিব লিওন পানেত্তাও ভারত সফরে এসে জানিয়ে গিয়েছেন, এ ব্যাপারে ভারতের ভূমিকাকে উৎসাহব্যঞ্জক বলেই মনে করে ওয়াশিংটন।
আগামী ২৮ তারিখ নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তানে বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হচ্ছে। যেখানে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্তারা উপস্থিত থাকবেন। পরিকাঠামো থেকে মানবসম্পদ উন্নয়ন কোন কোন ক্ষেত্রে সে দেশে বিনিয়োগ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে সেখানে। পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারেরও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা।
কাবুলের সম্মেলনটিতে এশিয়ার যে ১৫টি দেশ যোগ দিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে চিন এবং পাকিস্তানও। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালানোর ক্ষেত্রে প্রণববাবুর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই তাঁকে এমন গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে পাঠানো হচ্ছে। |