তৈরি রয়েছে সেচ প্রকল্প। এমনকী পাইপ লাইন সম্প্রসারণের কাজও শেষ। তবুও চাষের জল মিলছে না বলে অভিযোগ কালনার পূর্বস্থলী-২ ব্লকের কোমলনগর এবং চণ্ডীপুর মৌজার গ্রামবাসীদের। তাঁদের অভিযোগ, পাইপ লাইনটি আরও সম্প্রসারণের দাবিতে প্রকল্পটি চালু করতে বাধা দিচ্ছেন গ্রামেরই কয়েকজন। ফলে জলের অভাবে সমস্যায় পড়েছে চাষবাস। অবিলম্বে সেচ প্রকল্পটি চালু করার দাবি নিয়ে শুক্রবার ৪০ জন চাষির একটি প্রতিনিধি দল মহকুমাশাসকের কাছে ১১৩ জন চাষির সাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন। |
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে ভাগীরথীর পাড়ে নির্মিত হয় সেচ প্রকল্পটি। পরে ১৯৭৮ সালের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয় প্রকল্পটির। তার পর থেকে বেশ কয়েক বছর সেটি বন্ধই থাকে। বছর পাঁচেক আগে চাষিদের দাবি মেনে স্থানীয় মেড়তলা পঞ্চায়েত থেকে প্রকল্পটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পটির বিদ্যুতায়নের কাজও করা হয়। এর মধ্যে পঞ্চায়েত ৪ লক্ষ টাকা দেয়। আর বাকি টাকা চাষিদের থেকে চাঁদা তুলে জোগাড় করা হয়। এভাবে বছর দুয়েক আগে চালু হয় প্রকল্পটি। চলতি বছরে ওই প্রকল্পে জল সরবরাহের কাঁচা নালাগুলি বন্ধ করে পাইপ লাইন বসানোর উদ্যোগ করা হয় সেচ দফতরের তরফে। কিন্তু পাইপ লাইন বসানোর কাজ শেষ হতেই শুরু হয় সমস্যা। গ্রামেরই কয়েক জন দাবি করেন, জলের লাইন আরও সম্প্রসারন করতে হবে। আর তাঁদের আপত্তিতেই মূলত বন্ধ হয়ে যায় ওই প্রকল্পের কাজ।
কোমলনগর সেচ প্রকল্পের উপভোক্তা কমিটির সম্পাদক মাণিক ঘোষ বলেন, “পাইপ লাইন সম্প্রসারনে আমাদের আপত্তি নেই তবে শুখা মরসুমেই যদি প্রকল্পটি না চলে তাহলে ক্ষতি তো চাষেরই।” এলাকার চাষি ভদ্রেশ্বর ঘোষ, মণিন্দ্র মণ্ডলদের দাবি, বৃষ্টির অভাবে এমনিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাট গাছ। তাছাড়া এখন ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করতেও জলের প্রয়োজন। ফলে দ্রুত প্রকল্পটি চালু না হলে কোনও ফসলই ফলানো যাবে না।
এই পরিস্থিতিতে কালনার মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচির আশ্বাস, বিষয়টি শীঘ্রই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |