|
|
|
|
|
|
অফ ক্যামেরা বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মুখোমুখি হলেন সুমিত চক্রবর্তী |
জীবনে কত বার
প্রেমে পড়েছেন? বাপ্পাদিত্য: আমি ঠিক প্রেমিক নই। এটা নিয়ে ‘হাউসফুল’ করেছিলাম। আমার ধারণা, চাইলেও ভাল প্রেমিক হতে পারব না। মেয়েরা যাদের সঙ্গে প্রেম করে, তাদের কিছু আলাদা কোয়ালিটিজ থাকে। আমি জানি সেগুলো আমার মধ্যে একেবারেই নেই।
সাহসী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পাওলি দামের একটা স্বতন্ত্র ইমেজ তৈরি হয়েছে। সেই পাওলিকে দিয়েই আপনি এলার মতো একটা চরিত্রে অভিনয় করালেন। দর্শকের কাছে এটা জাম্প কাটের মতো হল না তো?
বাপ্পাদিত্য: এলা ইটসেল্ফ খুব সাহসী চরিত্র। ১৯৩৪-এ সৃষ্টি করা চরিত্র রবীন্দ্রনাথের এলা। ২০১২ সালে দাঁড়িয়েও এলার মতো মেয়ে পাওয়া যাবে না। এক জন ভাল অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে দেখলে তাঁকে কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট ইমেজে মনে পড়বে না। যাকে ইমেজে মনে পড়বে, সে হয়তো অভিনেতার থেকেও বড় কোনও স্টার।
কপিরাইটের জন্য উপন্যাসের আসল নামটা রাখা সম্ভব হয়নি। সেটাই কি ‘এলার চার অধ্যায়’ নাম রাখার কারণ?
বাপ্পাদিত্য: সেই কারণটা বলতে হলে এক জনের কথা বলতে হয়। তাঁর নাম বলছি না। তিনি ‘চার অধ্যায়’ ছবিটা করছেন। এটা আমার কাছে একটা বড় পয়েন্ট যে, যাঁর লেখার কপিরাইট নেই, তাঁর নামের কপিরাইট হয় কী করে? প্রশ্নটা তুলেওছিলাম। কিন্তু ‘ইম্পা’র যুক্তি, একই নামে দুটো সিনেমা হতে পারে না। তখন আমাদের মিটিং হয়। তাতে যে নামগুলো সিলেক্ট করা হয় তার মধ্যে অনেকগুলোতে চার অধ্যায় শব্দটাই ছিল না। ‘এলার চার অধ্যায়’ এই জন্যে যে অন্তত চার অধ্যায়টা আছে।
ছবিতে রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন?
বাপ্পাদিত্য: আমি আসলে দেবব্রত বিশ্বাসের খুব ভক্ত। যখন কপিরাইটের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ, তখন যে ধরনের রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া হত তার অনেকগুলো আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে ছুঁত না। ঋত্বিক ঘটকের সিনেমায় যখন দেবব্রত বিশ্বাস গেয়েছেন তাঁর উচ্চারণ, নাটকীয়তা অন্য রকম ছিল। এখন যাঁরা ব্যান্ডে গায়, আমার মনে হয় তাঁরা দারুণ রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবেন। সায়কের গলায় ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’ গানটা সব থেকে ভাল হতে পারে।
‘এলার চার অধ্যায়’কে বারেবারেই আপনি রাজনৈতিক ছবি বলেছেন। এলা আর অন্তুর প্রেম সেই রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণকে কি ছাপিয়ে চলে গেল না?
বাপ্পাদিত্য: এটা একটা ইন্টারেস্টিং কথা। ‘চার অধ্যায়’ বইটা প্রকাশিত হওয়ার পর তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। পরে রবীন্দ্রনাথ প্রথম ভূমিকাটা পাল্টে দেন। দ্বিতীয় বার ভূমিকায় লেখেন, এটা আসলে প্রেমের গল্প। মজার কথা হল, পরে যখনই ‘চার অধ্যায়’ মঞ্চে অভিনীত হয়েছে, তখনও এটা প্রেমের গল্প হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। প্রথম ভূমিকাটার কথা অনেকেই ভুলে যান। রবীন্দ্রনাথের আসল লেখাটা তো বদলায়নি। সে দিক থেকে ‘চার অধ্যায়’ এবং ‘ঘরে বাইরে’ অনেকটা রাজনৈতিক উপন্যাস। ‘চার অধ্যায়’ ভারতের রাজনৈতিক ট্র্যাডিশনটাকে ভয়ঙ্কর ভাবে সমালোচনা করে।
পরিবার?
বাপ্পাদিত্য: আমার বাবা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন সাংবাদিকতা করেছেন। ‘আনন্দমেলা’র সম্পাদক ছিলেন। মা স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। আমার ভাই বিদেশে থাকেন।
পড়াশোনা?
বাপ্পাদিত্য: আমি সমাজতত্ত্ব নিয়ে পড়েছি। আশুতোষ কলেজে সোশিওলজি অনার্স নিয়ে পাশ করি। তার পর এম এ পড়তে পড়তেই সিনেমায় চলে আসি।
চলচ্চিত্র পরিচালকের পাশাপাশি আপনি আবার কবি। কিন্তু কবিতা লেখার থেকে চলচ্চিত্র পরিচালনাতেই বেশি জোর দিলেন। এটা কি তাড়াতাড়ি পপুলারিটি পাওয়ার জন্য?
বাপ্পাদিত্য: না, না। সেই সময় এত সহজে পপুলারিটি পাওয়া সম্ভব ছিল না। ১৯৯৮ সালে যখন আমি প্রথম ছবি করি তখন এত টেলিভিশন চ্যানেল ছিল না। ওই সময়ের বাংলা ছবি ছিল ‘বাবা কেন চাকর’, ‘সন্তান যখন শত্রু’ সেখানে টিকে থাকাটাই বিরাট ব্যাপার ছিল। পাশাপাশি দুটো হলে ‘সন্তান যখন শত্রু’ আর ‘সম্প্রদান’ চলছে, সেটা যেন একটা আতঙ্কের ব্যাপার। এক দিকে হাউসফুল আর আর এক দিকে তিনটে লোক। এখন পরিস্থিতি অনেক পাল্টে গিয়েছে। তবে যাঁরা কমার্শিয়াল সিনেমা করেছেন, তাঁদের সঙ্গে আমার কিন্তু ভীষণ ভাল সম্পর্ক। আর কবিতার কথা বললে আমার একটা বই প্রকাশিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বইটা ওই প্রেস পর্যন্ত পৌঁছেছিল। লেখালিখিটা কিন্তু চলছে।
আপনার প্রিয় নায়িকা?
বাপ্পাদিত্য: বলা খুব কঠিন। যেমন শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে আমি তিনটে ছবি করেছি। রিমঝিমের সঙ্গে কাজ করেছি। অনসূয়া মজুমদারের সঙ্গেও কাজ করেছি। নিজেরই দুটো ছবি নিয়ে এ ভাবে বলা যায় না। দেবশ্রী রায়ের একটা বড় কনট্রিবিউশন রয়েছে আমার ছবিতে। সে সময় ‘শিল্পান্তর’ করতে কেউ রাজি হতেন না। দেবশ্রীর রাজি হওয়াটা তখন বিশাল ব্যাপার। ছবিতে মেয়েটা কাঁচা মুরগি খায়, সাপ খায়। নররাক্ষসের খেলা দেখায় এমন একটা লোককে দেবশ্রী রায়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। দেবশ্রী সেদিন বাড়ির সবাইকে ডেকে এনেছিল। লোকটির কাঁচা লাউ খাওয়া দেখে দেবশ্রী বিস্মিত। দেবশ্রী আবার সাপকে প্রচণ্ড ভয় পায়। ছবিতে সেই সাপের খেলাই দেখাতে হবে। সে সময় দেবশ্রীকে শটের মধ্যে সাপ ধরতে প্রায় বাধ্য করেছিল ওর মা। মাসিমাই তখন দেবশ্রীকে ডিরেক্ট করছেন। এগুলো সত্যি মনে রাখার মতো ঘটনা। |
|
|
ভাড়া বাড়াতে গিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী রেলে কাটা পড়লেন। তাঁর জায়গায় আম জনতাকে বাঁচাতে এলেন মুকুল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ফ্রেট বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধির থ্রেট দিয়ে তিনি এক জন ছুপা মাসুলম্যান!
রুদ্র তা। কালনা
সূর্যের বর্তমান সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না। পুরভোটে ব্যর্থতা আবার অন্য দিকে তার উপর বিন্দু হয়ে শুক্র গ্রহের হাঁটাহাঁটি!
মণিদীপা। কলকাতা
‘ভিকি ডোনার’ ছবিটি রিলিজ হওয়ার পরেই ‘শুক্র’-এর খুব বাড়াবাড়ি শুরু হয়েছে। এখন তো দেখছি সূর্যের ওপরও হাঁটাহাঁটি শুরু করেছে!
দীপশিখা। কলকাতা
নিঃস্ব, রিক্ত, অসহায়, ক্লান্ত, বিড়ম্বিত (শুধু বঞ্চিত নয় এই যা) কেন্দ্র সরকার যদি এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যকে কিছু আর্থিক দান দেন, তবে কেন্দ্রকে ‘ভিকি’রি ডোনার’ বলা যাবে!
সুশান্ত ঘোষাল।
হলদিয়ায় শুভেন্দু হারিয়া প্রমাণ করিলেন যে, লক্ষ্মণ শেঠ মরে নাই!
সুদর্শন নন্দী। মেদিনীপুর
সচিনের বোল্ড আউট, ক্যাচ আউট, রান আউট দেখার পর এ বার রাজ্যসভায় তাঁর ওয়াক আউট দেখার প্রতীক্ষায় রইলাম!
রাজেশ সাহা। বেঙ্গালুরু
একটা জিনিস পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, এই বছরের গরমটা সুপারheat হয়ে গেল!
বোধিসত্ত্ব। বড়িশা
আইপিএল শেষ হয়ে যাওয়ামাত্র টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ইউরো কাপ নিয়ে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে। তারা ইউরো কাপ দেখাতেই পারে। ভবিষ্যতে ভারতীয় ফুটবল দেখাতে হলে কিন্তু কমেডি শো-এর এপিসোড হিসেবেই দেখাতে হবে। কারণ, ওই খেলা দেখে হাসি পাবেই!
অভিজ্ঞান পাঁজা। সিঁথি
শোনা গেল, আই পি এল জেতার পরে পরেই কলকাতার মালিক কিং খান গোয়ার ডেম্পো ফুটবল টিম কিনছেন। অর্থাৎ পরিষ্কার বোঝা গেল যে দু’ধরনের ‘তিনকাঠি’তেই তাঁর কিংডম চাই।
তনুশ্রী পাল। গড়িয়া
যোজনা কমিশনের বাথরুম মেরামতিতে খরচ হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ এই বাথরুমকে আর যাই বলা যাক, সুলভ শৌচাগার বলা যাবে না!
প্রশ্ন হল, ওই বাথরুম ব্যবহার করতে হলে কত টাকার খেতে হবে?
শ্যামল পাইন। লেক গার্ডেন্স |
|
|
|
জগন্নাথ বসু |
জঙ্গিপুর কলেজের পাট চুকিয়ে কলকাতায় ফিরে এলেন অধ্যাপক কবি। কবিতার জগৎ থেকে নাটকের দিকে একটু একটু করে ঝুঁকছেন মোহিত চট্টোপাধ্যায়। সে সময়ে পাইকপাড়ায়, ওঁর বাসবাড়িতে, রবিবারের সকালগুলো কাটত তোফা। আমাদের মতো তরুণ নাট্যজনদেরও আড্ডায় ছিল অবাধ প্রবেশাধিকার। এমনি করেই মোহিতদা এক দিন লিখে ফেললেন, ‘কণ্ঠনালিতে সূর্য’, ‘গন্ধরাজের হাততালি’। অ্যাবসার্ড নাটক, কিমিতিবাদী নাটকের ঢেউ আছড়ে পড়ল বাংলার নাট্য অঙ্গনে। নাটকের জোগান পেলেও মোহিতদার কাছ থেকে নাটক পাওয়াটা দুঃসাধ্য ছিল।
ইতিমধ্যে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র অবসর নেওয়ার পর আকাশবাণীর নাট্যবিভাগের দায়িত্বে এলাম আমি। প্রায় প্রতি মাসে মনোজ মিত্রের কাছে বেতার তখন তিনি স্টেজ আর ফিল্ম নিয়ে অনেক বেশি মেতে আছেন। অবশ্য মাঝে মাঝে চাপে পড়ে কথা দিতেন আবার কথার খেলাপও করতেন। এক দিন এসপ্ল্যানেডে মেট্রো সিনেমার কাছে দেখা। হাত নেড়ে কাছে এগিয়ে যেতেই দেখি জনারণ্যে কৌশল করে মিলিয়ে গেলেন। এক দিন রেগেমেগে ওঁকে বলি আপনি কি টাকা ধার করেছেন নাকি? এ বার ওঁর সরল স্বীকারোক্তি, ‘লেখাটা লেখার মতো না হলে দিই কী করে বলো তো?’
একটি স্ক্রিপ্টকে কত বার যে কাটাছেঁড়া করতেন, তার ঠিক নেই। অসম্ভব পারফেকশনিস্ট ছিলেন। এর পর আকাশবাণী ছেড়ে চলে গেলাম দূরদর্শনে, উনিও পাইকপাড়া ছেড়ে চলে গেলেন বারুইপুর। জেদ চেপে গেল ওঁকে দিয়ে একটা টেলি প্লে লেখাবই। প্রায়ই ছুটতে লাগলাম বারুইপুর। উনি চা খাওয়ান, জলখাবার খাওয়ান কিন্তু নাটকের কথা তোলেন না। এর পর প্রাতর্ভ্রমণকারী দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার গল্প বলি ওঁকে। গল্পটি ব্যতিক্রমী ছিল। ওঁর পছন্দ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ছ’মাস ঘুরে ‘সহযাত্রী’ হাতে পেলাম। বার্ধক্যের একাকিত্ব দর্শকদের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। |
|
ভেবেছিল চাকরি পাবে তোমাদের ওই ফোর্সে।
নিজের জোরেই পৌঁছেছিল নয়কো কোনও সোর্সে।
তোমরা তাকে বললে তখন দৌড়ও রেস কোর্সে।
আগুন ঢালা রোদের ভিতর সে তার মরণছুট।
জীবন লুট। ঘুঁটের মালার লজ্জা ক পু তোমার সজ্জা |
|
|
|
|
হলদিয়ায় পুরভোটের ফল জানার পর
সিপিএমের গান উই শ্যাল আবার কাম সাম ডে!
জয়ন্ত ঘোষ, বোলপুর |
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
প্রায় চল্লিশ বছর আগেকার ঘটনা। তখন আমার স্ত্রী আসন্নপ্রসবা। সে সময় কোনও এক রবিবারে ক্লাবে আড্ডা মেরে দুপুর পেরিয়ে বাড়ি ফিরতে ও একটি ধোওয়া মশারি নিংড়ানোর জন্য মশারির একটি দিক আমাকে ধরতে বলে। মশারির অন্য প্রান্ত ওর হাত ধরা ছিল। আমি নিংড়াচ্ছিলাম, এবং ওকে সতর্ক করেছিলাম যাতে মশারিটা শক্ত করে ধরে রাখে। স্বাভাবিক কারণেই ও তখন ততটা সবল ছিল না। হয়তো একটু অন্যমনস্কও হয়েছিল। ওই ভিজে মশারির ওর ধরে থাকা প্রান্তটি মাটিতে পড়ে নোংরা হয়ে যায়। আমি প্রচণ্ড রেগে গোটা মশারিটাই মাটিতে ফেলে দিই। বাড়ির অন্যরাও ঘটনাটা প্রত্যক্ষ করেছিল। ও অপমানে এবং সেই পরিস্থিতিতে ওর পরিশ্রমের সেই পরিণতিতে কেঁদে ফেলেছিল। বড়রা আমাকে বকেছিল। আমিও কিছুক্ষণ পরে ওর কাছে স্বীকার করেছিলাম যে আমি খুব অন্যায় করেছি। মশারিটা আমি ধুয়েও দিই। ঘটনাটা এখনও মাঝে মাঝে মনে পড়ে। প্রলয়শরণ চক্রবর্তী,
আগরতলা |
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
বিভাগ।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের। ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান। ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|