|
|
|
|
কমার্স কলেজে শরিকি সংঘর্ষ, জখম ৯ জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে না-হতেই ছাত্র সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেল মেদিনীপুরে। ছাত্র পরিষদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় কমার্স কলেজ ক্যাম্পাসে। আহত হন দু’পক্ষের ৯ জন। তঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃণমূলীদের ‘হামলার’ প্রতিবাদে অধ্যক্ষ দিলীপ নিয়োগীকে ঘেরাও করে ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ঘটনার প্রতিবাদে আজ, জেলা জুড়ে কালা দিবসের ডাক দিয়েছে ছাত্র পরিষদ।
গত বছরও এই কলেজে সিপি-টিএমসিপি সংঘর্ষ হয়েছিল। এ দিন ফর্ম বিলি নিয়েই দুই শরিক দলের ছাত্র সংগঠন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, দুপুরে আচমকাই কলেজে হামলা চালায় যুব-তৃণমূলের একদল কর্মী। ‘হামলাকারী’রা বহিরাগত। কলেজে ঢুকে ছাত্র সংসদের ঘরও ভাঙচুর করা হয়। |
|
|
ভাঙচুর হওয়া ইউনিয়ন রুম। |
চলছে পুলিশি প্রহরা। |
|
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পাল্টা অভিযোগ, শুরুতে দলীয় কর্মীদের উপর হামলা করে ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা। এরপরই পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। কমার্স কলেজে বরাবরই ছাত্র পরিষদের প্রভাব বেশি। গত বছরও এখানকার ছাত্র সংসদ দখল করে ছাত্র পরিষদ। সংসদের ৩০ টি আসনের মধ্যে ২৫ টিই আসে তাদের ঝুলিতে। বাকি ৫ টির মধ্যে ৩ টি পায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, ২টি এসএফআই। ‘বহিরাগতদের হামলায়’ সংসদ সভাপতি শুভাশিষ পন্ডাও জখম হয়েছেন দাবি করে ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “আচমকা হামলা করা হয়। ছাত্র সংসদের রুমও ভাঙচুর করা হয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের শহর সভাপতি বুদ্ধ মন্ডল বলেন,“ ফর্ম ফিলাপ চলাকালীন দলীয় কর্মীদের উপর শুরুতে ছাত্র পরিষদের কয়েকজন হামলা করে। আমাদের ৪ জন কর্মী আহত হয়েছেন।” ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। |
—নিজস্ব চিত্র। |
|
|
|
|
|