টুকরো খবর
মমতার কাছে ব্রিটিশ দূত
মহাকরণে ডেভিড বেভান। —নিজস্ব চিত্র
মাসখানেক আগে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এ রাজ্যে মার্কিন বিনিয়োগ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন আমেরিকার বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করে গেলেন এ দেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনারও। বৃহস্পতিবার মহাকরণে এসে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার জেমস ডেভিড বেভান। তার পরে তিনি বলেন, “ব্রিটেন এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বাণিজ্য ও লগ্নির দিকগুলি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ভবিষ্যতে আমরা আরও আন্তরিক ভাবে পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেষ্টা করব।” এই সাক্ষাৎকে অবশ্য ‘সৌজন্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে কলকাতার ব্রিটিশ দূতাবাস। হিলারির কলকাতা-সফরের পরে পশ্চিমবঙ্গ ও আমেরিকার মধ্যে বিনিয়োগ তদারকির জন্য ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েল ও রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষকে নিয়ে দুই সদস্যের একটি কমিটি গড়া হয়েছে। ব্রিটিশ হাই কমিশনারের এ দিনের সাক্ষাৎ নিয়ে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেননি। গত নভেম্বরে এ দেশে ব্রিটেনের হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে এই প্রথম কলকাতায় এলেন বেভান। এ দিন সকালে মহাকরণে যাওয়ার আগে দমদমে বস্তি এলাকায় ডিএফআইডি-র প্রকল্প ঘুরে দেখেন তিনি।

বিছানায় চোর
ঘুম থেকে উঠে গৃহকর্ত্রী দেখলেন, বিছানার পাশে গুটিসুটি মেরে রয়েছে এক যুবক। ঘুমন্ত স্বামীকে ডেকে সেই যুবককে ধরে ফেলেন। ধৃতের কাছে বাড়িরই এক জনের মোবাইল-সহ চারটি মোবাইল, ঘড়ি ও টাকা মেলে বলে বাড়ির লোকের দাবি। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম রাহুল দস্তান। বৃহস্পতিবার, বিধাননগরের বিএল ব্লকের ঘটনা। বাড়ির সদস্য সুতপা দত্ত ভাণ্ডারী জানান, পাইপ বেয়ে উঠে বারান্দা দিয়ে ঘরে ঢোকে ওই যুবক। সেই ঘরে তাঁর দেওররা থাকেন। ঘুম থেকে উঠে দেওরের স্ত্রী দেখেন, বিছানা আর জানলার মাঝে এক যুবক শুয়ে আছে। চিৎকার করতে সে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ জেনেছে, এর আগে পিছনের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল ওই যুবক।

লরির ধাক্কায় মৃত্যু
পুরসভার জঞ্জালের লরির ধাক্কায় মারা গেলেন কর্তব্যরত এক ট্রাফিক কনস্টেবল। বৃহস্পতিবার, এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেটের কাছে। আহত আরও দু’জন। মৃতের নাম নিত্যরঞ্জন মৌলিক (৫১)। এ দিন যান নিয়ন্ত্রণ করার সময়ে লরিটি তাঁকে এবং পাশে দাঁড়ানো অটোতে ধাক্কা মারে। অটোতে চালক ও এক যাত্রী ছিলেন। হাসপাতালে নিত্যরঞ্জনবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। লরি-সহ চালক আটক হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরসভার জঞ্জালের গাড়িগুলি বেপরোয়া ভাবে চলে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল প্রবীর পাল বলেন, “জঞ্জালের গাড়িগুলি পুরসভার নিজস্ব নয়। এজেন্সির মাধ্যমে চলে। কিছু গাড়ির অবস্থা সত্যিই খারাপ। সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে এজেন্সির মালিকদের ডেকেছি।”

চারটি পথ-দুর্ঘটনা
চারটি পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৪ জনের। বৃহস্পতিবার নরেন্দ্রপুরে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় কার্তিক সর্দার (২৭) নামে এক সাইকেল আরোহীর। পুলিশ জানায়, কার্তিক সাইকেলে যাওয়ার সময়ে একটি টাটা সুমো তাঁকে ধাক্কা মেরে তাঁর উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কার্তিকের। এ দিন ভোরে যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির ধাক্কায় সঞ্জয় জৈন (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সকালে সল্টলেকে এক বেসরকারি হাসপাতালের সামনে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় রণেন্দ্রনাথ চৌধুরী (৮২) নামে এক বৃদ্ধের। গাড়ি-সহ চালক গ্রেফতার হয়েছে। অন্য দিকে, বুধবার রাতে ময়দান এলাকায় ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় মহম্মদ কলিম (১৮) নামে এক মোটরবাইক আরোহীর। তাঁর তিন সঙ্গী আহত। পুলিশ জানায়, পিজি-তে কলিমকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

তিনটি অপমৃত্যু
দু’দিনে তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল শহরে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের এক বহুতল থেকে অমরেন্দ্রনাথ বসুচৌধুরী (৭১) নামে এক বৃদ্ধের দেহ মেলে। প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী অমরেন্দ্রবাবু একাই থাকতেন। পুলিশ জানায়, ওই বৃদ্ধের নাক-মুখ থেকে রক্তের দাগ মিলেছে। এ দিনই দুপুরে হরিদেবপুরের একটি বাড়ি থেকে সমীর ভট্টাচার্য (৭০) নামে এক বৃদ্ধের পচাগলা দেহ মেলে। কয়েক দিন ধরে তাঁর বাড়ির দরজা বন্ধ দেখে স্থানীয়েরা বৃহস্পতিবার পুলিশে খবর দেন। অন্য দিকে, বুধবার রাতে পর্ণশ্রী থানা এলাকায় একটি বহুতল থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম মনমিত সিংহ দুয়া (২৮)। ঘটনার সময়ে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

আশঙ্কাজনক আরও এক পরীক্ষার্থীও
কলকাতা পুলিশে চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে বুধবার অভিষেক পালের সঙ্গেই অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন সুরেশ ভুজন (২৪)। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা এ দিন জানিয়েছেন, সুরেশও হিট স্ট্রোকের শিকার। তাঁর রক্তচাপ কম অত্যন্ত কমে গিয়েছে। মাঝেমধ্যেই তিনি সংজ্ঞা হারাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে পুলিশের দাবি, সুরেশের অসুস্থতার সঙ্গে দৌড়ের কোনও সম্পর্ক নেই। কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (৩) দেবাশিস রায় বলেন, “ছেলেটির মৃগী রয়েছে। মাঝেমধ্যেই খিঁচুনি হয়। বুধবার মাঠেও ওই কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।” সুরেশের বাড়ি কালিম্পঙে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবারই তাঁর বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.