টানা দুই ত্রৈমাসিকে নিট লাভের অঙ্ক কমেছে। গত অর্থবর্ষে ৯% কমেছে কার্যকরী মুনাফাও। শেয়ার দর প্রায় তিন বছরের তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে ‘ঘুরে দাঁড়াতে’ আগামী ৫ বছরে তেল শোধন, খুচরো ব্যবসা এবং টেলিকমে এক লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। কে জি বেসিনে গ্যাস উত্তোলনের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দিলেন পাঁচ বছরের মধ্যে কার্যকরী মুনাফা দ্বিগুণ করারও। বিশেষজ্ঞদের মতে, আরআইএলের হাতে নগদ ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি লগ্নিযোগ্য তহবিল থাকলেও, সংস্থা তা কোথায় বিনিয়োগ করবে, তা স্পষ্ট নয় অনেক শেয়ারহোল্ডারের কাছেই। তেল শোধনে মুনাফার ভাগ কমছে। ছ’বছর পেরিয়েও এখনও লাভের মুখ দেখেনি খুচরো ব্যবসা। নিলামে দেশের সব ক’টি সার্কেলে লাইসেন্স পাওয়া সত্ত্বেও এখনও ফোর-জি পরিষেবা শুরু করতে পারেনি তারা। বরং তাদের মুনাফার বড় শতাংশই আসছে হাতে থাকা টাকা খাটানো মারফৎ। তাই এই প্রেক্ষাপটে এ দিনের মুনাফা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি শেয়ারহোল্ডারদের আশ্বস্ত করবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
|
ভারতের অর্থনীতির হাল ফেরাতে কেন্দ্রকে বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করতে বলল বণিকসভা সিআইআই। এই উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের কাছে ‘১০ দফা আর্থিক পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা’ পেশ করেছে সিআইআই। তাদের দাবি, আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আনতে আগামী ঋণনীতির পর্যালোচনায় আরও ১০০ বেসিস পয়েন্ট করে নগদ জমার অনুপাত (সিআরআর) এবং রেপো রেট (যে হারে ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নেয়) কমানো উচিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। সে ক্ষেত্রে বাজারে নগদের জোগান বাড়ার পাশাপাশি, ব্যাঙ্কগুলি আরবিআইয়ের থেকে ঋণ নিতেও উৎসাহী হবে। এই প্রসঙ্গে বণিকসভার প্রেসিডেন্ট আদি গোদরেজ জানান, বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধি অনেকটাই কমেছে। বিশ্ব বাজারেও তেলের দাম পড়ছে। তাই এপ্রিলের পর সিআরআর এবং রেপো রেট কমানোর এটাই উপযুক্ত সময়। ২০১১-’১২ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬.৫% আর চতুর্থ ত্রৈমাসিকে তা কমে হয়েছে ৫.৩%। ফলে কেন্দ্রের এখনই উচিত অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সঠিক পদক্ষেপ করা। সুদ কমানোর পাশাপাশি, বিমান পরিবহণ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির দরজা খুলে দেওয়া, বহু-পণ্যের খুচরো বিপণনে বিদেশি লগ্নির সুযোগ করে দেওয়ার মতো সংস্কারমূলক পদক্ষেপও কেন্দ্রকে অবিলম্বে নিতে বলেছে সিআইআই।
|
আজ থেকেই ২৪০ দিন পর্যন্ত মেয়াদের স্থায়ী আমানতে (ফিক্সড ডিপোজিট) ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমাচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)। ফলে এ বার ১৫ লক্ষ টাকার কম জমায় ৭-৯০, ৯১-১৭৯ ও ১৮০ দিন মেয়াদের সুদ ৭.২৫% থেকে কমে হচ্ছে ৭%। আর ১৮১-২৪০ দিনের জমায় তা ৭.৫০% থেকে কমে হচ্ছে ৭.২৫%। অন্যান্য মেয়াদি আমানতে সুদ অবশ্য অপরিবর্তিতই থাকছে। বস্তুত, আগামী ১৮ জুন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি পর্যালোচনার আগেই এসবিআইয়ের এই পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞরা। কারণ সংশ্লিষ্ট মহলের আশা, দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আনতে ওই দিন শীর্ষ ব্যাঙ্কও ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আর তাই অনেকের ধারণা শীঘ্রই অন্যান্য ব্যাঙ্কও হাঁটতে পারে স্টেট ব্যাঙ্কের পথেই।
|
ফেসবুকের শেয়ার বাজারে ছাড়ার দিন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লগ্নিকারী সংস্থাগুলির যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে দেওয়ার কথা জানাল ন্যাসডাক ওএমএক্স গোষ্ঠী। এ জন্য ৪ কোটি ডলার দেবে মার্কিন শেয়ার বাজার সংস্থাটি। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এমন ত্রুটি এড়াতে নিজেদের লেনদেন ব্যবস্থা ঢেলে সাজার কথাও ভাবছে তারা। তবে সংশ্লিষ্ট লগ্নিকারী সংস্থাগুলির মতে, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক তাদের ১০ কোটি ডলার লোকসানের থেকে অনেকটাই কম। গত ১৮ মে ফেসবুকের শেয়ার বাজারে আসার সময়ে যান্ত্রিক ত্রুটির দরুন প্রায় দেড় ঘণ্টা লেনদেন বা তার জন্য আবেদন করা যায়নি। প্রবল চাহিদার মুখে ন্যাসডাকের ওয়েবসাইটও বিকল হয়ে যায়। ফলে ইন্টারনেটের মাধ্যমেও শেয়ার কিনতে পারেননি বহু লগ্নিকারীই। এর পরই সিটিগ্রুপ, নাইট ক্যাপিটাল-সহ বিভিন্ন সংস্থা ক্ষতিপূরণের দাবি জানায়। এ বার যার কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিতে রাজি হল ন্যাসডাক।
|
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশের কম্পিউটার বাজারের ১৫.৮% দখল করেছে বলে দাবি করল লেনোভো। এমনকী বিশ্ব বাজারে শুধু নোটবুক-এর ক্ষেত্রেই তাদের বাজার দখলের পরিমাণ ২১.২%। সংস্থার দাবি, এর ফলে তারা বাজারে জোগানের ভিত্তিতে সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে শীর্ষে রয়েছে।
|
দেশে রফতানি বাড়াতে কেন্দ্রীয় উৎসাহ প্রকল্পের শর্ত মেনে রফতানিকারী- দের নেওয়া ঋণের সুদে ২% ছাড়ের মেয়াদ বাড়াল ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (ইউবিআই)-ও। পাশাপাশি যে কোনও রফতানিকারীকেই তারা বেস রেট-এর থেকে মাত্র ২৫ বেসিস পয়েন্ট বেশি সুদে ঋণ দেবে। গোল্ড কার্ড থাকলে মিলবে বাড়তি ছাড়। এখন ইউবিআইয়ের বেস রেট ১০.৪৫%। প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই চলতি অর্থবর্ষে ২০% রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাত দফা সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। |