টুকরো খবর |
পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার শিশুর দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
|
এই ঘর থেকে উদ্ধার হয় শিশুটি। —নিজস্ব চিত্র। |
একটি পরিত্যক্ত মাটির বাড়ির মেঝেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় এক শিশুর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ মহিলাকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার দুবরাজপুরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউসের কাছে বেসরকারি হাসপাতালের পিছন থেকে থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার সিউড়ির গরুইঝোড়া এলাকার একটি পরিবাবের ফিরদৌস খান নামে বছর দেড়েকের এক শিশু নিখোঁজ ছিল। ফিরদৌসের কাকা রশিদ খান, এ দিন উদ্ধার হওয়া শিশু তাঁদের বলে দাবি করেছেন। পুলিশের দাবি, এ দিন সকালে থেকে এক মহিলা তাঁর বছর দেড়েকের শিশুকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় জানিয়েছিলেন। প্রথম দিকে উদ্ধার হওয়া শিশু তাঁর বলে তিনি দাবি করেছিলেন। কিন্তু উদ্ধারের পরে তাঁর অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে পুলিশের সন্দেহ হয়। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর যোগ থাকতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ হলে তাঁকে আটক করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে ওই মহিলাকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
ট্রান্সফর্মারের দাবি মুরারইয়ের গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
এলাকায় ট্রান্সফর্মার এক মাস ধরে বিকল। বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়েও ট্রান্সফর্মার পাওয়া যায়নি। এর ফলে গরমে মুরারই থানার গোয়ালমাল ও বোনহা গ্রামের বাসিন্দাদের নাজেহাল অবস্থা। এই ক্ষোভে বৃহস্পতিবার গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া হাইটেনশন তারে সাইকেলের চেন ফেলে দেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এর জেরে বিলাসপুর, লতাগ্রাম, বিশোড়, গোয়ালমাল, হিয়াতনগর প্রভৃতি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই চেন সরাতে গেলে রাজ্যবিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সাত অস্থায়ী কর্মীকে বোনহা গ্রামে একটি স্কুলে আটকে রাখেন বাসিন্দারা। দুপুর আড়াইটে থেকে তাঁদের আটকে রাখা হলেও বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎ দফতরের কোনও আধিকারিক আসেননি। গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রামপুরহাট বিভাগীয় আধিকারিক নারায়ণচন্দ্র রায় বলেন, “এলাকায় আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে। ট্রান্সফর্মার যোগানের অভাব থাকায় সমস্যা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, “বিদ্যুৎ চুরির প্রবণতার জন্য ট্রান্সফর্মার তাড়াতাড়ি পুড়ে যাচ্ছে।”
|
পঞ্চায়েতে ভাঙচুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
যন্ত্রের সাহায্যে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন একটি পুকুর কাটাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েতে ভাঙচুর চালালেন গ্রামবাসীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির বড়শাল পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধান এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। খবর পেয়ে রামপুরহাট থানা থেকে পুলিশ ও ব্লক অফিস থেকে কর্মীরা পঞ্চায়েতে যান। পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিমা মণ্ডলের স্বামী বাসুদেব মণ্ডল বলেন, “পঞ্চায়েতের অ্যাকশন প্ল্যান বহির্ভূত একটি পুকুরে যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছিল। স্থানীয় মজুরেরা ভাবেন পঞ্চায়েত থেকে এই কাজ হওয়ায় তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না। তাই কাজ বন্ধ করার দাবিতে পঞ্চায়েতে ভাঙচুর চালান।” তিনি জানান, ব্লক অফিস থেকে পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিকেরা এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে মাটি কাটা হবে। রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও আব্দুল মান্নান বলেন, “ঘটনার কথা জেনেছি। মহকুমাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে ছিলাম। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
|
মন্ত্রীর আশ্বাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
|
বোলপুরে সমবায় মন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র। |
জেলার সমবায় ব্যাঙ্কে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা-সহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলি অতি দ্রুত সমাধান হবে করা বলে আশ্বাস দিলেন রাজ্যের সমবায় দফতরের মন্ত্রী হায়দার আজিজ সফি। বৃহস্পতিবার বোলপুরের সার্কিট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, “এটি একটি সাময়িক ব্যাপার। খুব তাড়াতাড়িই সমস্যার সমাধান হবে।” প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক একটি নির্দেশিকা ঘিরে জেলার সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে নানা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সেভিংস ব্যাঙ্ক কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোসিট, রেকারিং ডিপোসিট-সহ কোনও অ্যাকাউন্টই এখন নতুন করে খোলা যাবে না। যদিও একই নামে পুরনো অ্যাকাউন্টগুলির নবীকরণ করা যাবে। ওই নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হওয়া উদ্বেগ কাটিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের গ্রাহক, আমানতকারী, কর্মীদের ও সমবায় অতিথিদের পক্ষ থেকে উদ্বেগ ও আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। ব্যাঙ্কের আমানত ও বিনিয়োগ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক।” হায়দারবাবু এ দিন জেলার বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্ক ও বোলপুর সমবায় সমিতি ঘুরে দেখেন। বিভিন্ন বিষয়ে সমবায়কর্মীদের পরামর্শও দেন।
|
‘সার্ক’ শিল্প শিবিরে সঞ্জয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
|
ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
‘সার্ক’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত একটি শিল্প শিবিরে ডাক পেলেন কলাভবনের প্রাক্তন ছাত্র শিল্পী সঞ্জয় সেনগুপ্ত। ৭ জুন থেকে পাঁচদিনের এই শিবির শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে শুরু হয়েছে। উদ্যোক্তা শ্রীলঙ্কার সার্ক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ‘সার্ক’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে এই ধরনের শিল্প শিবির আয়োজন। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের ললিত কলা আকাদেমি এ বছর প্রথম ভারত থেকে ৫ জন শিল্পীকে মনোনীত করে এই শিবিরে পাঠাচ্ছে। শিল্পকমের্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকছে শিল্প বিষয়ক আলোচনা। বিশ্বভারতীর কলাভবন থেকে চিত্রকলা বিষয়ে স্নাতকোত্তর প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ সঞ্জয়বাবু অসমের বাসিন্দা হলেও তিনি শিল্পচর্চা করেন শান্তিনিকেতনেই। সঞ্জয়বাবু ২০০৭ সালে চতুর্থ উত্তর-পূর্ব শিল্পপ্রদর্শনী পুরস্কার, ২০০৮ সালে জাতীয় যুব শিল্পী পুরস্কার-সহ একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
|
পড়ে মৃত্যু |
রামপুরহাট আসনেহা গার্লস কলেজে রঙের কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক রঙমিস্ত্রির। মৃতের নাম লিডার শেখ (১৯)। বাড়ি মাড়গ্রাম থানার দর্জিপাড়ায়। জখম অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। |
|