টুকরো খবর
এইচআইভি বলে বরখাস্ত বাসচালক
এইচআইভি আক্রান্ত এক সরকারি বাসচালককে ‘অন্যায় ভাবে’ চাকরি থেকে বরখাস্ত করার অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্র রাজ্য পরিবহণ সংস্থার বিরুদ্ধে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুরেশ শেট্টি। ২০০৮ সাল নাগাদ এইচআইভি সংক্রমণের কথা নিজেই কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন ৪১ বছর বয়সী ওই বাসচালক। শুধু তা-ই নয়, একই সঙ্গে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাঁকে যাতে বাস চালকের পদ থেকে সরিয়ে অন্য কাজ দেওয়া হয়, সেই অনুরোধও জানান তিনি। তাঁর দাবি, কর্তৃপক্ষ তো সেই অনুরোধ শোনেনই নি। উল্টে নানা রকম ‘অজুহাত’ দেখিয়ে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। অভিযোগ, এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার জন্যই তাঁকে অন্যায় ভাবে চাকরি খোয়াতে হয়েছে।

রোগীমৃত্যু, উত্তেজনা আরজিকরে
রোগীমৃত্যু ঘিরে বুধবার উত্তেজনা ছড়াল আর জি করে। বিনা চিকিৎসায় সাহেব জান (৭২) নামে ওই রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ডাক্তারদের উপরে চড়াও হন তাঁর পরিজনেরা। প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু করেন কিছু জুনিয়র ডাক্তার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জুনিয়র ডাক্তাররা প্রাথমিক ভাবে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিলেও তাঁদের বুঝিয়ে কাজ করানো গিয়েছে। বেলগাছিয়ার বাসিন্দা, হৃদ্রোগী সাহেব জানকে নিয়ে এ দিন ভোরে তাঁর পরিজনেরা ইমার্জেন্সিতে আসেন। তাঁর ছেলে মহম্মদ খলিলের অভিযোগ, বাবার বুকে ব্যথা হচ্ছিল, রক্তচাপও বেশি ছিল। তিনি বলেন, “কতর্ব্যরত চিকিৎসকদের বললেও চিকিৎসা শুরু করেননি তাঁরা। উল্টে বলেন, জায়গা নেই, অন্য জায়গায় যাও। ওই অবস্থায় আধ ঘণ্টা পড়ে থেকে বাবার মৃত্যু হয়।” এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাহেব জানের আত্মীয়েরা। অভিযোগ, ইমার্জেন্সিতে তাঁরা ভাঙচুর চালান। বাধা দিতে গিয়ে কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তার প্রহৃত হন। ডেপুটি সুপার সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “ওই ব্যক্তি আগেও হার্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। এ বারে খুব বাড়াবাড়ি হওয়ায় ওঁকে বাঁচানো যায়নি। সেটা কেন্দ্র করে যা হল, তা দুর্ভাগ্যজনক।”

ফের বিক্ষোভ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
যথাযথ পরিষেবা না মেলার অভিযোগে দু’দিন আগেই শালবনির গোদাপিয়াশাল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসী। একই অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন গ্রামের মানুষ। বুধবার সকালেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়নি। পরে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য কাজের নতুন নির্ঘণ্ট তৈরি করা হয়। এ বার থেকে তা মেনেই কাজ করতে হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “গোদাপিয়াশালে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।” ১০ শয্যাবিশিষ্ট গোদাপিয়াশালে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২ জন চিকিৎসক ও ৪ জন নার্স রয়েছেন। রয়েছেন কয়েকজন কর্মচারী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এখানে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়মিত মেলে না। চিকিৎসক, নার্সরা থাকেন না। অসুস্থ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। গত রবিবার দুপুরে স্থানীয় এক বাসিন্দা হাত কেটে যাওয়ায় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসক বা নার্স ছিলেন না। অথচ পাশেই রয়েছে আবাসন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। অসুস্থ এক জন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে দেখেন, চিকিৎসক বা নার্স নেই। এর পরই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শালবনি ব্লক হাসপাতালে এখন মাত্র ৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকেরা এখানে আসেন। ফলে, মাঝেমধ্যে কিছু সমস্যা হয়। তবে এ বার আর সমস্যা থাকবে না বলেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আশ্বাস।

যুব কংগ্রেসের দাবি
সিনিয়র ডাক্তারদের অনিয়মিত হাজিরা বন্ধ, হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও স্ট্রেচারের সংখ্যা বাড়ানো-সহ নানা দাবিতে মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে বিক্ষোভ দেখায় যুব কংগ্রেস। সুপারকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। নেতৃত্ব দেন যুব কংগ্রেসের মেদিনীপুর বিধানসভা কমিটির সভাপতি পার্থ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “সিনিয়র ডাক্তারা নিয়মিত আসেন না। সব সময় ইউএসজি ইউনিট খোলা থাকে না। রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয়। এ সবের প্রতিকার চেয়েই আমাদের এ দিনের কর্মসূচি।”

কাঁকসায় চক্ষুদান
মরণোত্তর চক্ষুদান করলেন সিপিএমের কাঁকসা জোনাল কমিটির বিরুডিহা শাখার সম্পাদক অলোক দাস (৩৮)। অকৃতদার অলোকবাবু সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বছর দু’য়েক আগেই তিনি চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছিলেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.