একে দাবদাহে কাহিল দশা। তার উপরে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল চত্বরে জলকষ্ট তীব্র হওয়ায় রোগীর বাড়ির লোকজনের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। বেশি দামে জল কিনে ব্যবহার করতে হচ্ছে তাঁদের। সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, “বামফ্রন্ট সরকার রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভিড় করা রোগীর বাড়ির লোকের ব্যবহারের জন্য জলের ব্যবস্থা করেনি। ওই কারণে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।” ১৯৯২ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ভাগ হয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা গঠনের পরে রায়গঞ্জ মহকুমা হাসপাতাল জেলা হাসপাতালে উন্নিত হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলা ছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ ও বিহারের প্রচুর রোগী চিকিৎসার জন্য তিনশো শয্যার ওই হাসপাতালে যান। প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ৭০০ জন রোগীর চিকিৎসা হয়। কিন্তু সবসময় ভিড়ে ঠাসা হলেও রোগী ও তাঁদের সঙ্গে আসা লোকজনের জন্য জলের ব্যবস্থা করতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোগীর বাড়ির লোকজনদের ব্যবহারের জন্য তিনটি নলকূপ আছে। কিন্তু জলস্তর নেমে যাওয়া এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুটি বিকল। একটি বিকল নলকূপের যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, একটি নলকূপে জল পড়লেও দুর্গন্ধের জন্য তা কেউ ব্যবহার করতে পারে না। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, একে অসহ্য গরম। তার উপরে জল নেই। ওই পরিস্থিতিতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বাধ্য হয়ে গাঁটের পয়সা খরচ করে জল কিনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। গরিব মানুষদের পক্ষে তা কষ্টকর। বহির্বিভাগের লাইনে দাঁড়ানো রোগীদের কয়েকজন জানান, হাসপাতাল চত্বরে জলকষ্টের সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী ১০ টাকার জলের বোতল ১৫ টাকায় বিক্রি করছে। ঘটনার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে লাভ হয়নি। ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবারের লোকজনের একাংশ সম্প্রতি হাসপাতাল চত্বরে পরিস্রুত জল সরবরাহের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। পরে তাঁরা সুপারকে স্মারকলিপি দেয়। যদিও হাসপাতালের কর্তারা ওই বিষয়ে মুখ খোলেননি। হাসপাতালের সহকারী সুপার গৌতম দাস বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতাল চত্বরে জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী। দ্রুত কাজ শুরু হবে।” |