বন্দিমৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ
হাসপাতালেই মারা গেলেন বিচারাধীন এক বন্দি। আর তাঁর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। মৃত ওই বন্দির নাম প্রদীপ পাল (২৩)। রবিবার আসানসোল মহকুমা হাসপাতালের ঘটনা।
তবে ওই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপার নিখিল দাস। তিনি বলেন, “ওই বন্দি জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি।” সুপার আরও জানান, ওই বন্দি এর আগেও চিকিৎসা করাতে এসেছেন। সুস্থ হয়ে ফিরেও গিয়েছেন।” আসানসোলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমা শাসক সুরজিৎ দত্ত শর্মা জানান, ওই বন্দির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে প্রদীপবাবুর মৃত্যুর খবর সংশোধনাগারে পৌছতেই বিক্ষোভ শুরু করেন অন্যান্য বন্দিরা। তাঁদের দাবি, মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে। সংশোধনাগারের খাবারের মান-সহ সামগ্রিক উন্নয়ন করতে হবে। ওই দাবিতে তাঁরা অনশন শুরু করেন বলেও সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে অবশ্য মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ উঠে যায়।
সংশোধনাগার সূত্রে খবর, একটি সোনার হার চুরির অভিযোগে প্রায় একবছর ধরে বিচারাধীন সালানপুরের হরিশাডি গ্রামের ওই বন্দি প্রদীপ পাল। ৩১ মে তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ দিন তাঁর মৃত্যু পরে তাঁর দাদা পরেশ পাল আসানসোলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেন। তবে ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক সুরজিৎ দত্ত শর্মা বলেন, “ওই বন্দির চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেছি। প্রাথমিকভাবে সব ঠিক আছে বলেই মনে হচ্ছে।” এছাড়াও মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, বন্দি-বিক্ষোভের খবর পেতেই তিনি সংশোধনাগারে যান। কিন্তু অনশন করার কোনও খবর জানেন না তিনি। বন্দিদের তিনি জানান, প্রদীপ পালের মৃত্যুর ম্যজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সংশোধনাগারের সামগ্রিক উন্নয়নেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.