চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের বাসিন্দারা।
বেলডাঙার মহ্যমপুরের বাসিন্দা রূপালি খাতুনের (১২) শনিবার সন্ধ্যায় হাতে সংক্রমণ নিয়ে বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। রূপালির বাবা বাবলু শেখের অভিযোগ, “মেয়েক ভর্তি করার অনেক পরে চিকিৎসক আসেন। বার বার চিকিৎসকের খোঁজ নেওয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরাও আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তারপর মেয়ের হাতে একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে ওকে বাড়ি নিয়ে চলে যেতে বলে। বাড়িতে নিয়ে আসার পরেও যন্ত্রণা কমেনি।” মেয়েটি যন্ত্রণায় ছটফট করতেই থাকে। সে অবস্থায় তাকে ফের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন চিকিৎসক ফের দায়সারা করে একটি ‘বনি’ লিখে দিয়েই দায় সারেন বলে জানান তিনি। বাবলু বলেন, “আমরা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। চিকিৎসকেরা আমাদের কিছুই বুধিয়ে বলেননি। বাড়ি ফিরিয়ে নার সময়েই মেয়েটা রাস্তায়েতেই মারা গেল।”
এর পরেই গ্রামের শ’দুয়েক বাসিন্দা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। রাত বারোটা নাগাদ বেলডাঙা থানার ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টোরাজ পুলিশ বাহিনী নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আসেন বিডিও সঞ্জয় বিশ্বাসও।
বেলডাঙা-১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত রায় অবশ্য দাবি করেছেন, “চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। মেয়েটির হাতের চোট পেকে গিয়েছিল। জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি ছিল। ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক সেখানেই রেফার করেছিলেন। কিন্তু রোগীর পরিবারের লোকেরা তা বুঝতেই পারেনি। তারা মেয়েটিকে নিয়ে গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন।”
তবে স্থানীয় শান্তি কমিটির কর্তা এহেসান হাবিব বলেন, “ওই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। চিকিৎসায় গাফিলতির ব্যাপারে হাসপাতালে একটি সাধারণ সভা ডাকা রয়েছে।” |