মেঘলা আকাশ, সঙ্গে কিছুক্ষণের বৃষ্টি। দিনের শেষে ৮৯ শতাংশ ভোট পড়ল ধূপগুড়ি পুর নির্বাচনে। বিধানসভা ও বিগত পুরভোটের চেয়ে ২ শতাংশ কম ভোট পড়ল। তবে সাধারণ মানুষ সমান হারে ভোট দেওয়ায় রায় কার পক্ষে যাবে তা নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে নানা মহলে। তৃণমূলের তরফে পুরভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব এই বার পুরসভার দখল পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁর দাবি, “মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আমাদের দলের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। যা মনে হচ্ছে, তাতে আমরা ১২-১৩টি আসনে জিতে পুরবোর্ড গঠন করব।”
এ দিন ধূপগুড়ির ১৬টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ হয় ৩৭টি কেন্দ্রে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার সুগত সেন এ দিন বাহিনী নিয়ে বুথগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। পুলিস সুপার বলেন,“এ দিন কোথাও বড় গণ্ডগোল হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট মিটেছে।” ভোটের দায়িত্বে থাকা জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক সাগর চক্রবর্তীও বলেন, “দুই প্রশাসন এক সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা করায় সব মিলিয়ে নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে।” |
ধূপগুড়ির একটি বুথে রাজকুমার মোদকের তোলা ছবি। |
গত পুরভোটে ভোট পড়েছিল ৯১ শতাংশ, এর পাশাপাশি বিধানসভায় ৯০ শতাংশ ভোট পড়ে। সেই নিরিখে এ বার ভোটের হারে (৮৯ শতাংশ) তেমন হেরফের হয়নি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, “এ বার অশান্তি করতে পারেনি সিপিএম। মানুষ অবাধে ভোট দিয়েছেন।” সিপিএম-এর ধূপগুড়ি জোনাল সম্পাদক তুষার বসুর পাল্টা দাবি, “১৬টি ওয়ার্ডে জিতবেন বামফ্রন্টের প্রার্থীরা।” গত বার ধূপগুড়িতে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস জোট করে ৫টি আসনে জয়ী হয়। তবে পুর- বোর্ডের ক্ষমতা ছিল সিপিএমের হাতেই। তুষারবাবুর কথায়, “মানুষ পুরসভার পাঁচ বছরের কাজে খুশি। পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের আস্ফালন, মূল্যবৃদ্ধি, চমক-রাজনীতি মানুষ ভাল ভাবে নিচ্ছেন না। তারা একটি আসনও জিততে পারবে না।”
তবে ভোটের ফল ‘ত্রিশঙ্কু’ হবে বলে মনে করছে কংগ্রেস ও বিজেপি। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহন বসু বলেন, “সিপিএম পুরবোর্ড পাচ্ছে না। তৃণমূল একক ভাবে ক্ষমতা পাবে না। কংগ্রেস দু’টি, বিজেপি একটি আসনে জিতবে।” বিজেপি জেলা নেতা অশোক দাসও বলেন, “পুরসভা ত্রিশঙ্কু হবে।” |