সারানো হয়নি নলকূপ, জলকষ্ট বিষ্ণুপুরের গ্রামে |
মাসখানেক ধরে দুটি নলকূপই অকেজো হয়ে পড়ায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বিষ্ণুপুর ব্লকের আধকাটা গ্রামে। বেলশুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তাঁদের অনেকেই বন সুরক্ষা কমিটির সঙ্গে যুক্ত। তাই বন দফতর দু’টি নলকূপ বসিয়েছিল। কিন্তু এ বার গরমে দু’টি নলকূপই অকেজো হয়ে পড়েছে। তাঁদের অভিযোগ, “মেরামতি করার জন্য বন দফতরকে জানানোর পরেও নলকূপগুলি মেরামত করা হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও কাজ হয়নি।” এরফলে ওই গ্রামের ২৪টি পরিবার তীব্র জল সঙ্কটে ভুগছেন বলে তাঁরা জানান।
গ্রামবাসী সাধু সোরেন, লক্ষী বেশরা, দুলি হেমব্রমদের ক্ষোভ, “গ্রামের এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে নলকূপ রয়েছে। কখনও সেখান থেকে, কখনও পুকুর থেকে জল এনে খাওয়া হচ্ছে। বারবার জানানো সত্ত্বেও পঞ্চায়েত বা বন দফতরের টনক নড়েনি।” বন দফতরের বাঁকাদহ রেঞ্জের আধিকারিক বলাই ঘোষের দাবি, “নলকূপ মেরামত করার জন্য আলাদা করে টাকা বরাদ্দ হয় না। বাসিন্দাদেরই সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।” পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের রত্না দে-র দাবি, “ওঁরা লিখিত আবেদন জানালে চেষ্টা করব।” বিষ্ণুপুরের বিডিও সুদীপ্ত সাঁতরা-র আশ্বাস, “শীঘ্রই মেরামত করা হবে।”
|
পুষ্টি প্রকল্পের চাল বিলি শুরু |
সাত বছর আগে পুরুলিয়া শহরের অপুষ্ট কিশোরীদের জন্য বরাদ্দ করা চাল এ বার বন্টন শুরু করলেন রেশন ডিলাররা। পরিবেশকের গুদাম থেকে চাল আনার খরচ না পাওয়ার জন্যই রেশন ডিলাররা এত দিন পুষ্টি প্রকল্পের চাল বিলি করতে চাইছিলেন না। প্রশাসনের উদ্যোগে শেষে পরিবেশকই রেশন ডিলারদের দোকানে চাল পৌঁছে দেওয়ায় এ বার ওই চাল বিলি শুরু করা হল।
জেলা খাদ্য নিয়ামক সাধন পাঠন বলেন, “পরিবহণ খরচ না পাওয়ায় এত দিন ওই প্রকল্পের ১৩৫৫ কুইন্ট্যাল চাল বিলি করা যায়নি। সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’বছর আগেই অবশ্য ওই প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আওতায় ১৮ বছরের অনূর্ধ্ব ৩৫ কিলোগ্রাম ওজনের কিশোরীদের পুষ্টি প্রকল্পে মাসে ৬ কিলোগ্রাম করে চাল দেওয়া হত। ওয়েষ্টবেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন মাহাতো বলেন, “ওই চালের পরিবহণ খরচ প্রশাসনের কাছে চাওয়া হয়েছিল। তা পাওয়া যায়নি। এখন পরিবেশক ডিলারদের কাছে চাল পৌঁছে দেওয়ায় তা বিলি করতে অসুবিধে নেই। চাল বিলিও শুরু হয়েছে।” সংশ্লিষ্ট পরিবেশক দেবকুমার দাঁ বলেন, “উপভোক্তাদের কথা ভেবেই রেশন দোকানে চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
|
রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাঁওতালডিহিতে। দীর্ঘদিন ধরে সাঁওতালডিহি-র পাহাড়িগোড়া থেকে ঝাড়খণ্ড সীমান্তে গোয়াই নদীর সেতু পর্যন্ত রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রঘুনাথপুর থেকে রাস্তাটির কিছু অংশে সংস্কারের কাজ চললেও পাহাড়িগোড়া এলাকার সংস্কার করা হচ্ছে না। ফলে তাঁদের নিত্যদিনের সমস্যা কাটেনি।
পাহাড়িগোড়া থেকে গোয়াই নদীর সেতু পর্যন্ত রাস্তাটি কার্যত ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পিচ উঠে যাওয়ায় রাস্তার উপর জায়গায় জায়গায় বড় আকারের গর্ত তৈরি হয়েছে। এ জন্য মাঝে মধ্যেই ছোটখাটো দূর্ঘটনা ঘটছে। কয়েক মাস আগে এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে পূর্ত দফতরের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ঘোষালের অভিযোগ, “প্রায় দু’দশকের বেশি সময় ধরে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ হয়নি। আমরা পূর্ত দফতরের কাছে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছি।” রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পূর্ত দফতরের রঘুনাথপুরের সহকারী বাস্তুকার দ্বীপনারায়ন শীল। তাঁর আশ্বাস, “রাস্তার খারাপ অবস্থার কথা জানি। সংস্কারের চেষ্টা চলছে।”
|
এক ব্যক্তির গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কোতুলপুরের হাজরা পুকুর গ্রামে। কিছু ইউক্যালিপ্টাস ও বাঁশ গাছ কাটা হয়েছে বলে শনিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন সন্দীপ নন্দী নামের এক ব্যক্তি। অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর সন্ধান করা হচ্ছে। তবে তৃণমূলের কোতুলপুর ব্লক সভাপতি প্রবীর গড়াইয়ের দাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সর্ম্পক নেই। তবে দু’জনেই ওই গাছগুলির মালিকানা দাবি করেছে বলে শুনেছি।”
|
অপমৃত্যু দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার সকালে বীরভূমের খয়রাশোল থানার লাউবেড়িয়া গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম মাধব দাস (৩৫)। রান্নাঘরের পুরনো দেওয়াল ভেঙে ফেলার সময় দেওয়ালটি তার উপর ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাধববাবু। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। |