এক বার নয়, তিন বার। প্রতিবারই লাইনে আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়েও ভোট দিতে পারেননি। প্রতিবারই ভোট নিতে আসা অফিসাররা তাঁকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। চড়া রোদ উপেক্ষা করে দুপুরের দিতে ফের চলে আসেন। তখনও ‘আপনার ভোট হয়ে গিয়েছে’ বলে তাঁকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ সংবাদমাধ্যমের কাছে হাজির হন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কল্যাণি ফুলমালি। চাপ পড়তেই দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, “ভুল হয়েছিল।” এ বার তিনি ভোট দিতে পারলেন।
|
দুই রবীন্দ্রনাথবাবু কথা বলছিলেন ভোটারদের সঙ্গে। এক জন তুলনামূলক লম্বা, অন্য জনের থেকে বয়সে বড়। তিনি সিপিএমের। অন্য জনের বয়েস এবং উচ্চতা দুই-ই তুলনামূলক কম। তিনি তৃণমূলের। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম ও তৃণমূলের প্রার্থীদের নাম একই- রবীন্দ্রনাথ শর্মা। দূর সম্পর্কের দাদা-ভাই। সাংবাদিকদের দেখে তৃণমূলের রবীন্দ্রনাথবাবু বলে উঠলেন, “এখানে কোনও গোলমাল নেই। আপনাদের কোনও খবর হবে না। এখানে যে সিপিএম-তৃণমূল ভাই-ভাই।”
|
বাবা আইন ভাঙেন না। উনিও ভাঙবেন না। দলীয় নেতা-কর্মীরা ভোটকেন্দ্রে ব্যস্ত। প্রণবপুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বাবার আদর্শে অবিচল থেকে ভোটে নিজেকে গৃহবন্দী রাখলেন। ৩টের পরে নিজের জন্য কিছু বাজার করতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে এবং দলীয় কর্মীদের বুথ ফেরত ফল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তা হয়ে ওঠেনি।
|
করিমপুর প্রাথমিক স্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তখন ভোটারদের লম্বা লাইন। সকলের গলদঘর্ম অবস্থা। একরাশ বিরক্তি নিয়ে বৃদ্ধা রৌশনা বিবি সামনের এক ভোটারকে জিজ্ঞাসা করলেন, “গরম কালেই কেন ভোট হয় বলো তো? জনগণের ভাল করার জন্যই ভোট করা। তাহলে ভোটের ‘সিজন চেঞ্জ’ হয় না কেন?”
|
৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরজাহান খাতুন। মায়ের নাম গোলফুল বিবি। এই পরিচিতিতে ভোটার কার্ড না নিয়ে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত। সামেলা বিবি নামে বিধু পাড়ার আর এক বাসিন্দা বাধা দিলেন। কার্ড ছাড়া ভোট দিতে এসে বিপাকে নুরজাহান। অবশেষে হাঁসি মুখে উত্তর দিলেন, “নকল ভোটার সেজে ভোট দিতে পারিনি।”
|