সকাল-বিকেল বোমাবাজি। বন্ধ দোকানপাট। রাস্তাঘাট জনশূন্য। বন্ধ হাইস্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। জমজমাট অর্জুনপুর বাজারের একটাও দোকানের শাটার ওঠেনি তিন দিন।
তিন দিন ধরে দুই সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর বোমাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে শনিবার পথে নামলেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ওই দিনই অজুর্নপুরে যান জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “বোমাবাজি আটকাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফরাক্কা থানায়। নিয়মিত টহলদারি চালাবে পুলিশ। এখন পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীরা নির্ভয়ে দোকান খুলতে পারেন। |
অর্জুনপুরের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মহম্মদ মনিরুদ্দিন বলেন, “অনেক দিন ধরেই এই এলাকায় সমাজবিরোধীদের দু’টি গোষ্ঠী অশান্তি করছে। সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনের দু’পাশে ওদের দাপট সব থেকে বেশি। ব্যবসায়ীদের কাছে তোলাবাজি করে। কী দিন কী রাত, সারাক্ষণ বোমা ফাটছে। আতঙ্কে কেউ বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না।” ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লাল মহম্মদ বিশ্বাস বলেন, “পুলিশ তো কিছুই করে না। বোমাবাজির চোটে স্কুলে তালা। স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ। আগে এলাকায় একটা পুলিশ ক্যাম্প ছিল। বছর তিনেক আগে তাও তুলে নেওয়া হয়েছে।”
অর্জুনপুর হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক নির্মল মণ্ডল বলেন, “মাঝে মাঝেই এরকম বোমাবাজি হয়। স্কুল চালাতে সমস্যায় পড়ি। পুলিশকে ফোন করলে তারা গুরুত্ব দেয় না।”
ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক বলেন, “পুলিশ সক্রিয় নয় বলেই অর্জুনপুরে এত ঝামেলা।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীয় সদস্য আবুল হাসনাত খান বলেন, “বোমাবাজি লেগেই আছে। পুলিশ সুপারের আশ্বাসে আমরা ভরসা রাখছি। ব্যবসায়ীরা রবিবার দোকান খুললেও এখনও পরিবেশ থমথমে।” |