নিজস্ব সংবাদদাতা • চেন্নাই |
পঞ্চম বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলে কী হবে, বয়সটা যে তাঁর ৪২। সুতরাং প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে। কবে অবসর নেবেন আপনি?
গত কাল দেশে ফেরার পর আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এবং অবধারিত ভাবে সেখানেও উঠল একই প্রশ্ন। এবং প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক বিশ্বনাথন আনন্দ বলেই দিলেন, “অবসরের ভাবনা তো নেই-ই, বরং উল্টো ভাবনাটা আছে। পঞ্চম বার বিশ্ব খেতাব জয় মানসিক ভাবে আমাকে দারুণ চাঙ্গা করে দিয়েছে। যত দিন পর্যন্ত দাবা উপভোগ করব, তত দিন পর্যন্ত অবসরের প্রশ্নই আসে না।”
ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকর এবং দাবায় আনন্দ দু’জনকে নিয়েই এখন দুটো প্রশ্ন খুব উঠছে। এক, কাকে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত? এবং দুই, এঁরা কবে অবসর নেবেন? আর ঠিক সচিনের মতোই আনন্দ বলছেন, “বিশ্বখেতাব জেতার পর এখন দাবাটা আরও বেশি উপভোগ করছি। মস্কোয় জেতাটা আমার কাছে একটা খুব আবেগপূর্ণ ব্যাপার ছিল। এটা শুধু রেকর্ডের জন্য নয়। এটা বুঝিয়ে দেওয়া যে আপনি জিততে ভালবাসেন আর হারতে ঘৃণা করেন। আমি এখন দাবা চালিয়ে যাওয়া আর টুর্নামেন্ট জেতার উপরই নজর দেব।”
এর পরই উঠে আসছে গ্যারি কাসপারভ প্রসঙ্গ। গেলফাঁর সঙ্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই চলার সময় কাসপারভ বলেছিলেন, “আনন্দ নিজেকে তাতাতে পারছে না। ওর ফর্ম এখন পড়তির দিকে।” আনন্দকে সে কথা মনে করিয়ে দিতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বলেন, “কাসপারভ দাবা থেকে অবসর নিয়েছে ২০০৫ সালে। ও ২০১১ থেকে চাইছে আমি যেন অবসর নিয়ে নিই। মনে হচ্ছে, দাবা ছেড়ে দেওয়ায় এখন আফসোস করছে কাসপারভ। খেলার সময় প্রচারের যে সার্চলাইটটা ওর উপর থাকত, সেটা তো আর থাকছে না এখন। মনে হয় কাসপারভ সেটার অভাবই টের পাচ্ছে।”
আনন্দ এও জানিয়ে দিচ্ছেন, চ্যাম্পিয়নশিপ চলার সময় তিনি কাগজ-টাগজ পড়েন না। নিজেকে একটা বৃত্তের মধ্যে আটকে রাখার চেষ্টা করেন। “কিন্তু কাসপারভ তো ম্যাচ কেন্দ্রে এসে একেবারে একটা সাংবাদিক সম্মেলন করে গিয়েছিল,” মনে করিয়ে দিচ্ছেন আনন্দ। |