গ্রামের একটি মাত্র নলকূপও বেহাল, সমস্যায় গ্রামবাসী
লকূপ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে প্রায় ছ’মাস ধরে। ফলে পুকুরের জল পাম্প করে তুলে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। চিত্রটি হাওড়ার আমতা ২ ব্লকের অমরাগড়ি পঞ্চায়েতের ঘনশ্যামচক গ্রামের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁরা বিভিন্ন মহলে বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও নলকূপটি মেরামত করা হচ্ছে না। বিডিও ইন্দ্রকুমার নস্কর বলেন, “এই ব্লকে আমি সম্প্রতি যোগ দিয়েছি। সমস্যাটি খতিয়ে দেখছি।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় প্রায় দু’শো মানুষের বাস। এখানে যে নলকূপটি রয়েছে সেটি বছর দুই আগে বিকল হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে আবেদন পেয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নলকূপটি মেরামত করা হয়। কিন্তু তার পরেও নলকূপ থেকে নোংরা জল উঠতে থাকে বলে গ্রামবাসীরা জানান।
পরবর্তীকালে ফের গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েতের কাছে বিষয়টি জানালে তাদের পক্ষ থেকে নলকূপটির লোহার পাইপ তুলে তার বদলে ফাইবারের পাইপ বসানো হয়। কিন্তু সেই থেকে নলকূপটি থেকে জল আর উঠছে না বললেই চলে। যেটুকু জল উঠছে, তা নোংরা এবং ঘোলাটে। এই অবস্থা প্রায় ছ’মাস ধরে চলছে বলে গ্রামবাসীরা জানান।
এ দিকে, গ্রামের একমাত্র নলকূপটি বিকল হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীদের প্রায় এক কিলোমিটার দূরের অন্য এলাকার নলকূপ থেকে পানীয় জল বহণ করে আনতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গ্রামের পুকুরগুলি থেকে পাম্পের সাহায্যে জল তুলে তা বাড়িতে শোধন করে রান্না ও বাসন মাজার কাজে ব্যবহার করছেন বলে জানান গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসান ইমাম বলেন, “মাসের পর পর মাস আমরা এই দুর্গতি ভোগ করছি। অথচ বিভিন্ন মহলে দরখাস্ত করা সত্ত্বেও দেখার কেউ নেই। বিশেষ করে এই গ্রীষ্মকালে পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না-হওয়ায় পুকুরও শুকিয়ে আসছে।”
পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, টাকার অভাবের জন্যই নলকূপটি মেরামত সম্ভব হয়নি। প্রধান তাপস দলুই বলেন, “আমরা গ্রামবাসীদের বলেছি কত জন ওই নলকূপটি ব্যবহার করেন তার প্রকৃত সংখ্যা জানিয়ে আমার কাছে আবেদন জানাতে হবে। আবেদনপত্রে ওই গ্রাম সংসদ এলাকার নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যের সুপারিশ থাকাও প্রয়োজন। ওই সুপারিশ-সহ আবেদনপত্র পেলে ভবিষ্যতে টাকা এলেই জরুরি ভিত্তিতে নলকূপটি মেরামত করা যেতে পারে।” গ্রামবাসীদের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, পঞ্চায়েতে বহু বার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েতের কর্তারা বিষয়টিতে কর্ণপাত করেননি। সেই কারণে বিডিও-সহ জেলা অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে আমরা লিখিত ভাবে সমস্যাটির কথা জানিয়েছি।” কলের দশা। পুকুর থেকে পাম্প লাগিয়ে তোলা হচ্ছে জল।

ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.