পঞ্জিকামাফিক বর্ষা ঋতুর সূচনা হতে এখনও সপ্তাহখানেক বাকি। কিন্তু লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনে ধসের জেরে যাত্রীদের দুর্ভোগ শুরু হয়ে গিয়েছে। কাল রাতে অন্তত পাঁচ জায়গায় ধস নামে। ফলে, আজ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
ক’দিন থেকে এই অঞ্চলে অল্পস্বল্প বৃষ্টি হচ্ছে। আর এতেই মাইবাং-দাউতোহাজা, মাহুর-মাইগ্রেনডিসা, লোয়ার হাফলং-বাগেটার, হারাঙ্গাজাও-মাইলংডিসা এবং বন্দরখাল-চন্দ্রনাথপুরের মধ্যে পাহাড় থেকে মাটি এসে রেললাইনের উপরে পড়ে। বেশ ক’জায়গায় আবার লাইনের তলার মাটি সরে গিয়েছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা হারাঙ্গাজাও-মাইলংডিসা এবং বন্দরখাল-চন্দ্রনাথপুর অংশে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ অফিসার এস হাজং জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় ১৩০ মিটার রেলপথের ক্ষতি হয়েছে। ফলে, মাটি সরালেই কাজ শেষ হচ্ছে না। লাইনে ওই অংশের মেরামতি প্রয়োজন। তাই, মেরামতিতে কত সময় লাগবে এখনই বলা যাচ্ছে না।
আপাতত লাইন ঠিকঠাক না-হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কাল রাতেই শিলচরগামী কাছাড় এক্সপ্রেস ও বরাক ভ্যালি এক্সপ্রেস এবং লামডিংগামী আগরতলা এক্সপ্রেসকে ক্রমে জাটিঙ্গা, মাইবাং এবং চন্দ্রনাথপুর থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ দিকে ৫ জুন থেকে ৬০ ঘণ্টার ডিমা হাসাও জেলা বন্ধের ডাক দিয়েছে স্বশাসিত রাজ্য দাবি কমিটি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কোনও ঘোষণা না-করলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে, ৭ জুন পর্যন্ত পাহাড় লাইনে চ্রেন চলবে না। ফলে, যাত্রীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
কারণ, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মণিপুর ও দক্ষিণ অসমের রেল যাত্রীদের জন্য এটিই একমাত্র রুট। অন্য দিকে, ডিমা হাসাও জেলা সড়কপথও বরাক উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির দরুন শিলচর-হাফলং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। গুনজুং-এ ধস নামায় হাফলং-গুয়াহাটি সড়কও কাল বন্ধ ছিল। তবে, ওই রুটে আজ যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। |