|
|
|
|
বিশ্বভারতী চত্বরে চলবে ব্যাটারি চালিত গাড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
বিশ্বভারতীর আশ্রমিক চরিত্র ও পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অমৃত সেন একটি সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান। অমৃতবাবু জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীর বিভিন্ন সংগঠন ও আশ্রমিকদের একাংশের সঙ্গে কথা বলে উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়িই ওই সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করা হবে বলেও তিনি জানান। অমৃতবাবু বলেন, “শান্তিনিকেতনের পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বিশ্বভারতী চত্বরে ৮টি ব্যাটারি চালিত গাড়ি চলাচল করবে। প্রবীণ নাগরিক ও অল্প বয়সীদের ওই গাড়িতে আশ্রম এলাকায় বিনা পয়সায় ঘোরানো হবে।”
যদিও আশ্রমিক চরিত্র ও পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য বিশ্বভারতীর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে বার বার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশ্বভারতীর সীমানা প্রাচীর তৈরির সিদ্ধান্তকে এর আগে অমর্ত্য সেন সমালোচনাও করেছিলেন। এর বাইরে অতি সম্প্রতি ওই সীমানা প্রাচীর তৈরি নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসা একটি জায়গায় (বিশ্বভারতীর সম্পত্তি) প্রাচীর তৈরিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু বাসিন্দার সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বচসাও হয়। তার জেরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পাঠভবনের এক প্রাক্তন অধ্যক্ষ-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় অভিযোগও করে।
উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সুশান্তবাবুকে বিশ্বভারতীর ‘হৃত গৌরব’ ফেরাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে। তারই একটি হল আশ্রম চত্বরে অবাঞ্ছিত যানবাহন রুখতে ব্যবস্থা নেওয়া। সম্প্রতি জেলাশাসক একটি নির্দেশ জারি করে শান্তিনিকেতন রাস্তার বেশ কিছু অংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, অমৃতবাবু জানালেন বিশ্বভারতী চত্বরে যান চলাচলের জন্য কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ ‘পাস’ জারি করতে চলেছে। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী, কর্মচারী ও শান্তিনিকেতনের বাসিন্দাদের জন্য থাকছে এই বিশেষ ব্যবস্থা। তিনি বলেন, “২০০ (চার চাকা যান) ও ১০০ (দু’চাকা যান) টাকার বিনিময়ে হাতিপুকুরের পাশে অরশ্রী বাজারের গেট, নিচু বাংলো গেট, কলাভবন ও সঙ্গীত ভবন গেট দিয়ে বিশ্বভারতী চত্বরে ঢোকার প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|