|
|
|
|
অভিযোগ সিপিএম জেলা সম্পাদকের |
দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় শনিবার সিউড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনলেন। দিলীপবাবু ছাড়াও সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বোলপুরের সাংসদ রামচন্দ্র ডোম ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সাধন ঘোষ।
দিলীপবাবুর অভিযোগ, “বীরভূম জেলায় বামফ্রন্ট কর্মীদের খুন, তাঁদের বাড়িতে আগুন লাগানো ও লুটপাট চালানোর মতো ৮০টি মামলা রাজ্য সরকার সম্প্রতি তুলে নিয়েছে।” এর মধ্যে বছর দুই আগে দলীয় কর্মী তথা দুবরাজপুরের পদুমা পঞ্চায়েতের সদস্য সুনীল হেমব্রমকে গুলি করে খুন করে তাঁর দেহ লোপাটের মামলাটিও রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, এই মামলাগুলি তুলে নেওয়ার পাশাপাশি উল্টোদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভূয়ো মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, “দুবরাজপুর ও খয়রাশোলের ৩ তৃণমূল নেতাকর্মীর খুনের ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সিপিএমকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সবাই জানে ওই খুনের ঘটনা আদতে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বেরই জের। অথচ পুলিশ গ্রেফতার করল আমাদের এমন এক নেতাকে যিনি সেদিন ঘটনাস্থলেই ছিলেন না! বাইক চালানোর লাইসেন্স নেওয়ার কাজে সিউড়িতে ছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “ওই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বড়রা লোকাল কমিটির সম্পাদক বিমল ঘোষকেও। বিমলবাবু এলাকার একজন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী।”
শনিবারের সাংবাদিক বৈঠকে জেলায় অবৈধ কয়লা কারবারের বিষয়টিও সিপিএম জেলা সম্পাদক উল্লেখ করেন। দিলীপবাবুর অভিযোগ, “জেলায়, বিশেষত কাঁকরতলা, খয়রাশোল, দুবরাজপুর থানা এলাকায় তৃণমূল ও জেলার পুলিশের একাংশের মদতে অবৈধ কয়লা কারবার চলছে।” অবৈধ কয়লা কারবারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সিপিএম আন্দোলনের পথে যাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এ দিকে মামলা তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দিলীপবাবুর অভিযোগ সম্পর্কে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “এ রকম কোনও খবর আমার জানা নেই।” অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-এর দাবি, “সিপিএম এখন কয়লা পাচার নিয়ে এত বড় বড় কথা বলছে। অথচ বছরের পর বছর সিপিএমই এই কাজটা করেছে।” এ দিনই সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপবাবু জানিয়েছেন, পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে আজ, সোমবার কাঁকরতলা থানায় সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের তরফে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হবে। একই ইস্যুতে আগামী ১২ জুন জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনাকেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিপিএম জেলা সম্পাদক। |
|
|
|
|
|