জেলার উন্নয়নের কাজে কংগ্রেসকে সামিল করা হল না কেন, সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড মামলার নিহত সাক্ষী গুণমণি রায়ের স্মরণ সভায় এই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। রবিবার বর্ধমান শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ওই স্মরণসভা আয়োজিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমানের (দক্ষিণ) তৃণমূলের বিধায়ক, মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ও জেলা কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
১৯৭০ সালে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বর্ধমানের টাউনহলে তারাপদ রায় কমিশনের সামনে সাক্ষী দিতে এসেছিলেন গুণমনি রায়। টাউনহলের সামনে খুন হন তিনি। রবিবার ছিল তাঁর ৪২তম স্মরণসভা।
এ দিন রবিরঞ্জনবাবু বলেন, “আমি বর্ধমানের মত লালদুর্গে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের যৌথ প্রচেষ্টায় সাংসদ ও মন্ত্রী হয়েছি। যেভাবে তৃণমূল ও কংগ্রেসের যৌথ চেষ্টায় এই সভা হয়েছে, তাতে আমি খুশি। বর্ধমানের উন্নয়নেও এমনি করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে কংগ্রেস ও তৃণমূলকে।” কিন্তু কংগ্রেস নেতা কাশীরামবাবু বলেন, “আমরা রবিবাবুকে জেতাতে সব রকম সাহায্য করেছি। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার পরে শহরের উন্নয়নের কাজে কংগ্রেসের কোনও নেতাকেই আর ডাকেননি তিনি। জোটসঙ্গী দলের নেতাদের কোনও কমিটিতেও তিনি রাখেননি। তাহলে কি ধরে নিতে হবে, জেতার জন্যই আমাদের দরকার ছিল। এখন সেটা ফুরিয়েছে?” যদিও রবিরঞ্জনবাবু তাঁর এই মন্তব্যের কোনও উত্তর দেননি।
এ দিনের সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, “এখন সিপিএমের একদল হার্মাদ তৃণমূলে ঢুকে নানা জায়গায় গোলমাল পাকাচ্ছে। এদের চিহ্নিত করতে হবে। অন্য দিকে, আমাদের দলের অনেকের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ উঠছে। অনেকে দলের নাম করে পকেট ভর্তি করছেন। তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে।” |