টুকরো খবর
নথিভুক্তি নিয়ে চাপান-উতোর
টাকা না-দেওয়ায় বিহারের পূর্ণিয়ার মাছ ব্যবসায়ীকে কালিয়াচকে আটকে রাখার অভিযোগ নিয়ে দুই রাজ্যের পুলিশে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। নিমন্ত্রণের টোপ দিয়ে ওই ব্যবসায়ী রাজেন্দ্র জওশোয়ালকে গত ১৮ মে বিহারের পূর্ণিয়া থেকে ফুঁসলে কালিয়াচকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই তাঁর কোন হদিস নেই। রাজেন্দ্রবাবুর দাদা শত্রুঘ্নবাবুর অভিযোগ, তিনি পূর্ণিয়া থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। মালদহের কালিয়াচক থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু, কালিয়াচক থানা অভিযোগ না-নিয়ে তা বিহারে নথিভুক্ত করার ‘উপদেশ’ দেয় বলে রাজেন্দ্রবাবুর অভিযোগ। রাজেন্দ্রবাবু দাবি, “এর পরে আমি পূর্ণিয়ার এসপি অমিত লোধার কাছে গিয়ে সব বলি। তিনি তাঁর প্যাডে মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পালকে একটি মেমো নম্বর সম্বলিত চিঠি দেন। তা আমি নিজে হাতে নিয়ে মালদহের এসপিকে দেখাই।” পূর্ণিয়ার পুলিশ সুপার অমিতবাবু দাবি করেন, তাঁর এক জন ব্যবসায়ীকে কালিয়াচকে আটকে রাখার অভিযোগ জানার পরে মালহ জেলা পুলিশের তরফে অভিযোগ নথিভুক্ত করা উচিত ছিল। অমিতবাবু বলেন, “যে হেতু আটকে রাখার ঘটনা মালদহে সেই কারণে আমরা এখানে কোনও মামলা করিনি। অপহৃত ব্যবসায়ী দ্রুত উদ্ধার করার জন্য মালদহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলাম।” পূর্ণিয়ার পুলিশ সুপার প্রশ্ন তুলেছেন, “আমি যদি কোনও চিঠি নাই দিতাম, তাই বলে কি মালদহের পুলিশ অভিযোগ নেবে না।” কিন্তু, অভিযোগ জানার পরে উদ্বিগ্ন হলেও চিঠিটি লিখে ফ্যাক্স মারফৎ কিংবা বিহার পুলিশের কোনও পুলিশকর্মীর হাত দিয়ে কেন পাঠালেন না অমিতবাবু, সেই প্রশ্নে সদুত্তর মেলেনি বলে মালদহ জেলা পুলিশের দাবি।

আন্দোলনের হুমকি
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জমি অধিগ্রহণের দাবিতে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলনে নামবে কংগ্রেস। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা ঘোষণা করলেন রায়গঞ্জের সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে জমি অধিগ্রহণ করছে না। উত্তরবঙ্গবাসীর উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার স্বার্থে আমরা চাই অবিলম্বে জমি অধিগ্রহণ করা হোক। রাজ্য সরকার হাসপাতালটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে যেতে চাইছে। জমি অধিগ্রহণ না হলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেস উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলনে নামবে।” দীপাদেবীর প্রস্তাব, “রাজ্য সরকারের জমি কেনার টাকা না থাকলে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বলুন। কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরাই রাস্তায় নেমে চাঁদা তুলে জমি কেনার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন।” সাংসদের কথায় গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন, “দীপাদেবীর কথায় গুরুত্ব দিচ্ছি না। রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্কতামূলক ভূমিকা পালন করছে। আমরাও দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমি অধিগ্রহণের দাবি জানিয়েছি। রাজ্য সরকার রায়গঞ্জে ওই হাসপাতাল তৈরির বিরোধী নয়।” ২০০৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার রায়গঞ্জে ৮২৩ কোটি টাকা খরচে ১০০ একর জমিতে ৯৬০ শয্যার এইমসের ধাঁচে একটি হাসপাতাল গড়ার অনুমোদন দেয়। কেন্দ্র জানিয়ে দেওয়া হয়, হাসপাতালের জন্য রাজ্যকে বিনে পয়সায় জমি দিতে হবে। জেলা প্রশাসন রায়গঞ্জের পানিশালায় ১২৫ একর জমি চিহ্নিত করে। ২০১০ সালের অক্টোবরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ওই জমি পরিদর্শন করে সবুজ সঙ্কেত দেয়। ২০১১-র ফেব্রুয়ারিতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হলেও বিধানসভা ভোটের জন্য তা আটকে যায়।

জেলায় জোট নয় পঞ্চায়েতে
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করবে না। শুক্রবার হেমতাবাদে দলের কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “তৃণমূল জেলায় কংগ্রেসের সংগঠনকে দুর্বল করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ওপর মাঝেমধ্যেই হামলা চালানো হচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনের পরে জেলার বিভিন্ন ব্লকে আমাদের একাধিক দলীয় কার্যালয় তৃণমূল দখল করে নিয়েছে। তৃণমূল নেতারা প্রকাশ্যেই কংগ্রেসকে খতম করার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। দলের কর্মী সমর্থকরা কেউই তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ার পক্ষপাতী নন। সেই কারণে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

অনিয়মের অভিযোগ
নলকূপ বসানো এবং রাস্তা তৈরির কাজে টেন্ডারে অনিয়মের নালিশে আরএসপির এক পঞ্চায়েত প্রধানকে শোকজ করলেন বিডিও। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের আরএসপি পরিচালিত আউটিনা গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটনাটি ঘটে। ৬ লক্ষ টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে কংগ্রেস। বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। শুক্রবার তপনের বিডিও জর্জ লেপচা প্রধানকে শোকজ করে চিঠি দেন। ৪ জুনের মধ্যে প্রধানকে তাঁর জবাব জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিডিও বলেন, “টেন্ডার প্রক্রিয়ার অভিযোগ নিয়ে প্রধান কী করছেন, কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা জানতে চাওয়া হয়েছে।” আরএসপি প্রধান সুনি কুজুর বলেন,“অনিয়ম হয়নি। বিডিওর চিঠি পাইনি। তা হাতে পেলে জবাব দেওয়া হবে।”

বাধা পেরিয়ে জয়
প্রতিকূলতার মধ্যেও ৮৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে অরূপ মোদক। প্রত্যন্ত গ্রামে মিষ্টির একটি দোকান রয়েছে বাবা রঘুনাথ মোদকের। যা আয় হয় তা দিয়ে খুঁড়িয়ে সংসার চলে পরিবারের ৪ জনের। সংসারের হাল ধরতে সেই দোকানে বসে নিয়মিত বাবাকে সাহায্য করতে হত তাকেও। ফলে টিউশন পড়ার মতো সামর্থ্য ছিল না। এক জন শিক্ষক সমস্ত বিষয় দেখিয়ে দিতেন। মালদহের চাঁচলের দরিয়াপুর ইমামপুর বরম্বল হাই স্কুল থেকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে। প্রাপ্ত নম্বর ৫৯৬। বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়র হতে চায় সে।

প্রশাসনের বৈঠক
অপরাধ কমাতে ও বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে থানা এলাকার ১৩টি পঞ্চায়েত প্রধান ও পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠক করল পুলিশ প্রশাসন। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি স্বপন ঘোষ, চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় ছাড়া প্রধান, কাউন্সিলরেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় অপরাধ ঠেকাতে প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আপাতত ঠিক হয়েছে, রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাতেও ওই দলের সদস্যরা নিজেদের মত করে এলাকায় নজরদারি করবেন।

স্মারকলিপি
রাজ্য সরকারের আশা প্রকল্পে নিযুক্ত কর্মীরা স্বাস্থ্যকর্মীদের হারে ভাতার দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার হলদিবাড়ির বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দিলেন। ওই কর্মীরা জানান, গর্ভবতী মা এবং শিশুদের দেখাশুনোর পর ৮০০-১২০০ টাকা মেলে। আশাকর্মীদের নূন্যতম ভাতা ৬ হাজার ৬০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে।

স্কুল-ভিত্তিক ফল
ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী ২৬০। অরিত্র কুণ্ডু ৬৪২।
ইসলামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী ২৩৩। অন্বেষনা দাস ৬৩৩।
ইসলামপুর স্টেট ফার্ম কলোনি হাই স্কুল: পরীক্ষার্থী ১৭৪। অনিতা চৌহান ৫৫৬।
ইসলামপুর মিলনপল্লী হাই স্কুল: পরীক্ষার্থী ২০৬। বিশ্বজিৎ ব্রহ্ম ৫৭০।
ইসলামপুর ক্ষুদিরাম পল্লী সুকান্ত স্মৃতি হাইস্কুল: পরীক্ষার্থী ১৩৬। মহম্মদ রহিম ৫৩৭।
রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী ৩০৫। দীপু সিংহ ৫৯৭।
ভদ্রকালী উচ্চ বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী ১২৩। সোলেমান আখতার ৫৫৭।
শ্রীকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী ১২৩। রাজেন দাস ৫৫১।
ডালখোলা বালিকা বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী ২০৩। প্রাপ্তি দাস ৬৪৫।
ডালখোলা উচ্চ বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী ২৩৪। ঘনশ্যাম ঠাকুর ৫৭৬।
চাকুলিয়া হাই স্কুল: পরীক্ষার্থী ৩২৭। প্রদ্যোত দাস ৫৬৯।
কানকি হাই স্কুল: পরীক্ষার্থী ২২৭। প্রণব সরকার ৫১৭।
চোপড়া বালিকা বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী ৩০৫। চন্দনী নাগ ৫৭২।
গোয়ালপোখর ভেন্ডাবাড়ি হাইস্কল: পরীক্ষার্থী ১৮০। অশোক দাস ৪৯২।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.