পানীয় জলের সঙ্কটে জেরবার এলাকার মহিলারা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান বীরেন কুন্ডুকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন। শুক্রবার শহরের আশ্রমরোড এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। এ দিন পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এলাকার একদল মহিলা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফরওয়ার্ড ব্লক কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে ক্ষোভের কথা জানান। কাউন্সিলরের কাছ থেকে বিষয়টি জানান পর এলাকায় যান চেয়ারম্যান। দুপুরে পুরসভা চেয়ারম্যান আশ্রমরোডে পৌঁছতেই ক্ষুব্ধ মহিলারা তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কবে পানীয় জলের সমস্যা মিটবে তা তাঁরা জানতে চান। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চেয়ারম্যানকে ঘিরে মহিলাদের ওই বিক্ষোভ চলে। বিকল পাম্প হাউসের বদলে নতুন করে পাম্প হাউস তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে চেয়ারম্যান তাঁদের বারবার আশ্বাস দেন। কিন্তু মহিলারা সাফ জানান, এ দিনই সমস্যা মেটাতে হবে। এবং কবে পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে তা জানাতে হবে। শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান দ্রুত সমস্যা মেটানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে জানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। চেয়ারম্যান বলেন, “স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকায় যাই। মহিলারা জল নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। এটা পরিকল্পিত ভাবে কোনও কিছু নয়।” চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, শহরের ম্যাগাজিন রোড এক্সটেনশন এবং নিত্যানন্দ আশ্রম এলাকার পাম্প হাউস যান্ত্রিক কারণে বিকল হয়েছে। গরমে জলস্তর কমে যাওয়ায় ওই মেশিন খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেখানে নতুন করে পাম্প হাউস করা হবে। এর জন্য কিছু সময় লাগবে। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। ৮, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাম্প হাউস নতুন করে তৈরি করতে হচ্ছে। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করা হবে। ক্ষুব্ধ মহিলাদের অভিযোগ, গত দুই সপ্তাহ ধরে পুরসভার ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাম্প হাউস বিকল হয়ে গিয়েছে। এর ফলে আশ্রম রোড, গুড়িয়াহাটি রোড, ম্যাগাজিন রোড, চিত্রকর পাড়া, নিউটাউন এবং লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার হচ্ছেন। দিনে এক বার জলের ট্যাঙ্ক পুরসভার তরফে পাঠানো হলেও তার জন্য প্রতি দিনই বিরাট লাইন পড়ছে। তাই সময়ের হেরফের হলে অনেককেই জল না নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। পুরসভার তরফে সমস্যা কবে মিটবে তার স্পষ্ট কোনও আশ্বাস মিলছে না। এলাকার বাসিন্দা পার্বতী দাস, আসমা বিবি, সাজিদা খাতুনেরা বলেন, “প্রচন্ড ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাইরে থেকে জলও কিনে আনতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যানকে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে হয়েছে।” |