|
|
|
|
স্থগিতাদেশ তুলে নিল আদালত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
দরপত্রের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে মাসখানেক আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রকের বরাদ্দ সাড়ে তিন কোটি টাকার রাস্তার কাজে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে জেলা আদালতের উচ্চকক্ষে আবেদন করে সরকারপক্ষ। বুধবার জেলা আদালতের উচ্চকক্ষের রায়েই সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক, তৃতীয় কোর্ট স্বপন কুমার দত্তের নির্দেশে জেলার বোদাগঞ্জ ও বন্ধুনগরের রাস্তা তৈরির কাজে স্থগিতাদেশ খারিজ হয়ে যাওয়ায়, রাস্তার কাজ শুরুতে বাধা থাকল না। পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হয়, দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করে এলাকার বাসিন্দাদের উন্নত যোগাযোগ পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত চলতি বছরের মার্চ মাসে জলপাইগুড়ি পূর্ত দফতর একসঙ্গে আটটি রাস্তার কাজের টেন্ডার করে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রকের বরাদ্দেই রাস্তাগুলি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তিনটে শ্রমিক সমবায় সংস্থা তাদের দরপত্র ছিনতাই হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করে পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ এপ্রিল আদালত জানিয়ে দেয়, মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাস্তার কাজে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। জেলা আদালতের নিম্নকক্ষের সেই রায়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারকের এজলাসে আবেদন করে সরকারপক্ষ। সরকারি আইনজীবী গৌতম দাস বলেন, “বিচারক তাঁর রায়ে রাস্তার জনস্বার্থের কথা বলেছেন। অভিযোগগুলির প্রমাণও মেলেনি। পূর্ত দফতরকে কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার রাস্তার কাজ আটকে যাওয়ায় বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়। উন্নয়নের কাজ ব্যক্তি বিশেষের অভিযোগে আটকে যাওয়া বাঞ্ছনীয় নয় বলে এক মন্ত্রীও ঘনিষ্ঠমহলে অভিযোগ করেছিলেন। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন থাকায় সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। গত বুধবার রাস্তার কাজে স্থগিতাদেশ খারিজের পরে পূর্ত দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বন্ধুনগর এবং বোদাগঞ্জের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করা হবে। তবে অভিযোগকারীদের আইনজীবী পার্থ চৌধুরী বলেন, “টেন্ডার জমা দেওয়ার দিনই প্রকাশ্যে তিনটি শ্রমিক সমবায় সংস্থার থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ায় তারা টেন্ডারে অংশ নিতে পারেননি। অনিয়মের অভিযোগেই আদালতে মামলা হয়েছিল। আমরা হাইকোর্টে আবেদন করব।” |
|
|
|
|
|