|
|
|
|
দশ হাজারে জামিন যীশুর, নথি আসেনি কাঞ্চনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রতারণা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় শিলিগুড়ি আদালতে হাজির হয়ে অন্তর্বর্তী জামিন নিলেন অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। শুক্রবার শিলিগুড়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সেকেন্ড কোর্ট) সন্তোষ পাঠকের এজলাসে হাজির হলে বিচারক দশ হাজার টাকার জামিনে মুক্তির অনুমতি দেন। একই মামলায় আগেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পাওয়া অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকও এদিন ওই আদালতে জামিনের আবেদন জানান। মামলার নথিপত্র এখনও হাইকোর্ট থেকে ফেরত না-আসায় বিচারক তাঁর জামিনের আবেদনটি গ্রহণ করেননি। ফের তাঁকে আদালতে হাজির হতে হবে। গত ফেব্রুয়ারিতে শিলিগুড়ির পাকুড়তলা যুবকবৃন্দ আয়োজিত একটি প্রদর্শনীমূলক ক্রিকেট খেলায় ওই দুই অভিনেতা অংশ নেওয়ার জন্য সত্যজিৎ চক্রবর্তী নামে এক ‘এজেন্ট’-এর মাধ্যমে আগাম টাকাপয়সা নিলেও শেষ মুহুর্তে তা বাতিল করেন বলে উদ্যোক্তাদের অভিযোগ। উদ্যোক্তারা টাকা ফেরত চাইলে যে চেক দেওয়া হয় তাও ব্যাঙ্কে বাউন্স হয় বলে অভিযোগ। মামলায় অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী বিশ্বাস এবং হিরণ চট্টোপাধ্যায়। শ্রাবন্তী, হিরণ এবং কাঞ্চন জামিন নিলেও এই প্রথম হাজির হলেন যীশু। |
|
নিজস্ব চিত্র |
অন্যদিকে, শ্রাবন্তী ও হিরণ শিলিগুড়ি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি নেওয়ার পরে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের স্থগিতাদেশ পান। তার পরে কোনও পদক্ষেপ করেননি। এই ব্যাপারে ক্লাবের পক্ষ থেকে আদালতে অভিযোগ করা হলে গত ১৮ মে কাঞ্চন ও যীশুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এদিন যীশু ও কাঞ্চন দাবি করেন, তাঁরা নির্দোষ। ম্যাচের আয়োজক পাকুড়তলা যুবকবৃন্দও নির্দোষ বলে দাবি করেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, যে এজেন্টের মাধ্যমে অভিনেত্রী ও অভিনেত্রীদের সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি হয়, তিনিই দায়ী। যীশু বলেন, “আমার সঙ্গে ওই ক্লাবের চুক্তিই হয়নি। ক্লাব কর্তৃপক্ষের উচিত এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করা।” যীশু এবং কাঞ্চনের আইনজীবী অখিল বিশ্বাস বলেন, “আমরা শীঘ্রই ওই এজেন্টের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করতে চলেছি।” এ দিন সত্যজিৎবাবু বলেন, “ওই ক্লাবের সঙ্গে যীশু সেনগুপ্তের হয়ে চুক্তি করিনি। শ্রাবন্তী, হিরণ-সহ ৮ জন অভিনেতা অভিনেত্রীর হয়ে চুক্তি করেছিলাম। অনেকেই ওই ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নেন। কয়েকজন নেননি। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। প্রয়োজন হলে আদালতে পেশ করব।” ক্লাব কর্তৃপক্ষের আইনজীবী সুনীল সরকার বলেন, “অভিযুক্তরা ক্লাবের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার জেরে ক্লাবের কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমরা সুবিচার চাই।” |
|
|
|
|
|