স্থানীয় ব্যবসায়ী ইন্দ্র দাসকে খুনের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল ঘোলা। এ দিন ইন্দ্রবাবুর বাড়ি এবং তাঁকে খুনের ঘটনায় ধৃত সুভাষ দাসের দোকানে হামলা চালান স্থানীয়রা। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। তবে ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
গত শনিবার রাতে বাড়ির সামনেই খুন হন ঘোলা থানার নাটাগড়-কালীতলার বাসিন্দা ইন্দ্রবাবু। এর পরে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী রূপালির সঙ্গে প্রতিবেশী সুভাষের সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খুনের সূত্র ধরে ও মৃতের পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সুভাষ ও রূপালিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই খুন বলে ধৃতেরা জেরায় স্বীকার করেছে। খুনের পরেই এলাকায় পুলিশ পিকেট বসে। তবে অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে ভেবে শুক্রবার সকালে পিকেট তোলা হয়। এর পরেই বিকেলে ঘটনাস্থলে জড়ো হন স্থানীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, দু’টি পরিবারই নারী পাচার ও যৌন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের সঙ্গে দাগী খুনিদেরও যোগ আছে। পুলিশ জানায়, ওই অভিযোগ তুলে সুভাষের স্টুডিও ভাঙচুর করেন স্থানীয়েরা। স্টুডিওর সরঞ্জাম ও একটি মোটরবাইক বাইরে এনে আগুন ধরায় জনতা। তাণ্ডব চলে ইন্দ্রবাবুর বাড়িতেও।
পুলিশ গেলে স্থানীয়েরা ইন্দ্রবাবুর ছেলে ও সুভাষের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এলাকায় পুলিশ রয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |