খবরের চ্যানেলে গ্রামের ছেলের নামটা দেখে প্রথমে বিশ্বাস হয়নি কারও।
কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার কাউকেপাড়া গ্রামের ‘মাস্টারমশাই’এর বাড়িতে উপচে পড়ে আত্মীস্বজন-প্রতিবেশীদের ভিড়। গ্রামের অঙ্ক মাস্টারের ছেলে সাহিন ঈশা মাধ্যমিকে ৬৭২ নম্বর পেয়ে রাজ্যে চতুর্থ স্থান দখল করেছে!
মাধ্যমিকে ভাল ফল হবে এমনটা আশা করেছিল বেড়াচাঁপা দেউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সাহিন। কিন্তু তাই বলে চতুর্থ স্থান হবে এমনটা ভাবতে পারেনি। তাই আনন্দটা বেশি। বাবা মহম্মদ রফিকুল ইসলাম হাড়োয়ার পিজি হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক।
তাঁর কথায়, “টেস্টে ৬৪৪ নম্বর পাওয়া ছেলে যে ভাল ফল করবে তা আশা করেছিলাম। কিন্তু তাই বলে এতটা আশা করিনি।” মা গুলশনআরাও ছেলের সাফল্যে আত্মহারা। বললেন, “ও খুব পরিশ্রম করেছিল।”
রফিকুল জানান, ইংরেজিতে দু’জন এবং ইতিহাস-ভূগোলের জন্য এক জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করেছে সাহিন। বাবা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হওয়ায় তাঁর কাছেই বিজ্ঞান ও অঙ্ক করত। এরপরেও কোনও সমস্যা হলে ছিলেন স্কুলের শিক্ষকেরা।
প্রধান শিক্ষক কমলকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, “এমন ফল আমরা সাহিনের কাছ থেকে আশা করেছিলাম। ওর এই সাফল্য অন্য ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করবে।” লাজুক স্বভাবের সাহিন বলে, “সারা দিনে ৬-৭ ঘণ্টা পড়াশোনার পাশাপাশি সময় পেলে ক্রিকেট খেলতাম। তবে রাত জেগে পড়তে পারতাম না।”
অবসর সময়ে ফুল নিয়ে চর্চা করা তার নেশা। গোয়েন্দা গল্প, বিশেষ করে ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের পাণ্ডব গোয়েন্দা হাতে পেলে তো কথাই নেই। গ্রামের মানুষের সেবা করার জন্য বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় সাহিন। |