|
|
|
|
বধূর মৃত্যু, ধৃত স্বামী ও ভাসুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
বধূমৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে স্বামী, ভাসুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে চন্দ্রকোনা থানার কোচগেড়িয়া এলাকায় এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতা ঝর্না রুইদাসের (২৬) স্বামী অষ্ট রুইদাস ও ভাসুর লেদা রুইদাসকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও শাশুড়ি লক্ষ্মীদেবী ও জা বন্দনাদেবী পলাতক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে কেশপুরের নেড়াদেউলের তরুণী ঝর্নার সঙ্গে অষ্ট রুইদাসের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ঝর্নাদেবীর উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মৃতার ভাই বাবলু বলেন, “মাঝেমধ্যে মারধর করে দিদিকে বাড়ির বাইরে বার করে দিত ওরা। এর আগে বহু বার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দিদি আমাদের বাড়ি চলে এসেছে।” অভিযোগ, গত ১৮ মে ঝর্নাদেবীর মাথায় পিতলের ঘটি দিয়ে আঘাত করেন শাশুড়ি লক্ষ্মীদেবী। চিকিৎসা করানো হলেও মাথার ভিতরে রক্ত জমে ক্রমেই শরীর খারাপ হতে থাকে ঝর্নাদেবীর। ২২ মে বাপের বাড়ির লোকেরা বিষয়টি জানতে পেরে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁকে। সেখান থেকে পরে স্থানান্তরিত করানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। গত ২৫ মে সেখানেই মৃত্যু হয় ঝর্নাদেবীর। শুক্রবার সকালে মৃতার ভাই বাবলু ঝর্নাদেবীর স্বামী, ভাসুর, শাশুড়ি ও জায়ের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। |
|
|
|
|
|