|
|
|
|
বেলপাহাড়ির সভায় সংগঠন মজবুত করার ডাক তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
‘সিপিএম-মাওবাদী-ঝাড়খণ্ডী’ জোটকে ঠেকাতে বেলপাহাড়িতে দলীয় সংগঠন মজবুত করার ডাক দিল তৃণমূল। শুক্রবার বেলপাহাড়ির বড়শোল গ্রামের হাটচালায় আয়োজিত এক শোকসভায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, নির্মল ঘোষ, প্রদ্যোৎ ঘোষের মতো নেতারা বলেন, “শুধু পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে সন্ত্রাসের মোকাবিলা সম্ভব নয়। এ জন্য মজবুত দলীয় সংগঠন গড়ে তোলা জরুরি।” ২৫ মে গভীর রাতে বাঁকুড়ার বারিকুল লাগোয়া বড়শোল গ্রামের তৃণমূল-কর্মী সুধীরবাবুকে না পেয়ে তাঁর ছেলে শ্যামলকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এ দিন বড়শোলে শোকসভার আয়োজন করে তৃণমূল। দীনেনবাবুরা অভিযোগ করেন, “সিপিএম-ঝাড়খণ্ডীরা দীর্ঘ দিন পালা করে বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতগুলিতে ক্ষমতায় থাকার পরেও কোনও কাজ করেনি। ৩৪ বছরের শাসনে বেলপাহাড়িকে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর করে তুলেছিল সিপিএম। |
|
বেলপাহাড়িতে তৃণমূলের শোকসভা। নিজস্ব চিত্র |
সিপিএমের হাত ধরেই এখানে প্রথমে এমসিসি ও জনযুদ্ধ এবং পরে মাওবাদীদের উত্থান।” এলাকাকে অনুন্নত ও দুর্গম করে রেখে সিপিএম ও ঝাড়খণ্ডীরা পরোক্ষে মাওবাদীদের প্রভাব বাড়াতে সাহায্য করেছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতারা। সভায় উপস্থিত ছিলেন শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো প্রমুখ।
এ দিকে, শ্যামল-হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার আরও এক ঝাড়খণ্ডী-কর্মী বিকাশ মুর্মুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান ঝাড়গ্রামের এসিজেএম প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাকি ৫ অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ দিন তাঁদেরও আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশের আবেদনক্রমে তদন্তের স্বার্থে এ দিন সিপিএমকর্মী হরেন মুর্মুকে আরও ৫ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি ৪ অভিযুক্তের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। আদালতে পুলিশ দাবি করে, হরেনবাবুকে জেরা করে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত কুড়ুলটি উদ্ধার করা গিয়েছে। শ্যামল-খুনের অভিযোগে এই পর্যন্ত ৭ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতদের ৬ জনই ঝাড়খণ্ডী নেতা-কর্মী। এক জন সিপিএম সমর্থক। এ দিনই সিপিএম ও ঝাড়খণ্ড পার্টির স্থানীয় দশ কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। এই প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-র নেত্রী চুনিবালা হাঁসদার অভিযোগ, “ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস করে আমাদের কর্মীদের তৃণমূলে নাম লেখাতে বাধ্য করা হচ্ছে।” একই অভিযোগ করেছে সিপিএমও। |
|
|
|
|
|