|
|
|
|
জঙ্গলমহলের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় প্রকল্প |
৯১টি প্রকল্প অসমাপ্ত, বাড়ল কাজের সময়সীমা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
৩১ মে-র মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু এখনও অনেক কাজই বাকি। মাওবাদী এলাকার উন্নয়নে কেন্দ্রের বিশেষ প্রকল্প ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান (আইএপি)-এ পশ্চিম মেদিনীপুরের ছবিটা এমনই। এ বার তাই জুন মাস পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই যাবতীয় কাজ শেষ করে যাতে কেন্দ্রের কাছে খরচের হিসেব পাঠানো যায়, সেই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য।
বিশেষ এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় যোজনা কমিশন। কাজ শেষ করে হিসেব না দেওয়া পর্যন্ত পরের ধাপের টাকা পাওয়া যায় না। তাই এখন তড়িঘড়ি কাজ শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক প্রণব ঘোষ বলেন, “কাজ শেষ করার জন্য আরও একমাস বেশি সময় দেওয়া হয়েছে। জুন মাসের মধ্যে অবশ্যই সমস্ত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। চলতি মাসেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেই আমরা আশাবাদী।”
মূলত জঙ্গলমহলেই এই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। কাজ কেমন হচ্ছে তা জানতে ভিডিও সম্মেলন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব জয়া দাশগুপ্ত নিজে এলাকায় এসেছেন। নানা দিক থেকে চাপ এসেছে যাতে ৩১ মে-র মধ্যেই কাজ শেষ করা যায়। কিন্তু তা হয়নি। আইএপি-তে প্রথম ধাপে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর। নির্দেশ ছিল, এমন কাজ করতে হবে যা চোখে দেখা যায়। অর্থাৎ প্রশিক্ষণ দিয়ে, বৈঠক করে টাকা খরচ করা চলবে না। ২০১০-১১ সালে বরাদ্দ টাকা খরচ করতে সক্ষম হয়েছিল জেলা প্রশাসন। পরবর্তীকালে আরও ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ওই টাকায় ৬৫০টি প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। বেশিরভাগ প্রকল্প রূপায়িত হলেও ৯১টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটির কাজ শুরু হয়েছে, কয়েকটি মাঝপথে, আবার কয়েকটি প্রায় শেষ হতে চলেছে। যাতে দ্রুত প্রকল্পগুলি শেষ করে খরচের হিসাব দেওয়া যায়, সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজ শেষ করে খরচের হিসাব দিলেই ফের ৩০ কোটি টাকা দেবে কেন্দ্র।
এই প্রকল্পে নানা কাজ হচ্ছে। ৫০ জন ছাত্রছাত্রী থাকতে পারে এমন ১০টি হস্টেল করা হয়েছিল গত বছর। এ বছর আরও ১০টি হস্টেল করা হচ্ছে। প্রতিটি হস্টেলের জন্য খরচ ৩৭ লক্ষ টাকা। তিনটি হস্টেলের কাজ শেষ করা যায়নি। কাঁটাপাহাড়ি স্কুল হস্টেলের কাজ শেষের পথে হলেও বিনপুরের মুড়ার আশুতোষ হাইস্কুলের হস্টেলের একতলাও শেষ হয়নি। একই অবস্থা নয়াগ্রামের দারিকাপল্লি কে এস শিক্ষায়তনেরও। এই কাজের দেখভাল করছে জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। দফতরের প্রকল্প আদিকারিক শান্তনু দাস বলেন, “বারবার ওই স্কুলগুলিকে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে, এ বিষয়ে কালেক্টরেটেও বৈঠক করা হয়েছে। তবু কাজের তেমন অগ্রগতি ঘটেনি। তবে চলতি মাসের মধ্যে যাতে শেষ করা যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” একইভাবে কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়ি তৈরি, সেচ প্রকল্পের কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলিও চলতি মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|