দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
সংস্কারের অপেক্ষায়
বেহাল সরণি
শুধুই প্রতিশ্রুতি। অভিযোগ, দীর্ঘ ২০ বছরেও সোনারপুর গ্রামীণ এলাকার পোটোর মোড় থেকে গড়িয়া-বারুইপুর বাইপাস সংলগ্ন বকুলতলার বটতলা মোড় পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার হয়নি। বছরখানেক আগে রাস্তা সংস্কারের কথা শোনা গেলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। প্রশাসনের কাছে বার বার আবেদন জানিয়ে কোনও ফল হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গোবিন্দপুরের পোটোর মোড় থেকে গড়িয়া-বারুইপুর বাইপাস সংলগ্ন বকুলতলার বটতলা পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার বিস্তৃত এই রাস্তার জায়গায় জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে। গোবিন্দপুর, লাঙলবেড়িয়া, তালপুকুর, বিবিরচক, আন্ধারিয়া, গঙ্গাধরপুর, চক্রবর্তীপাড়া, বকুলতলা সংলগ্ন এলাকার প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দা এই রাস্তাটির উপরে নির্ভরশীল। এই রাস্তার পাশেই রয়েছে দু’টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল, একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং বেশ কিছু প্রাথমিক স্কুল। ফলে নিয়মিত হাজার তিনেক পড়ুয়া এই রাস্তা ব্যবহার করেন।
অনেক জায়গায় পিচ উঠে মাটি বেড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন পিচের প্রলেপ পড়েনি। অভিযোগ, দু’চাকার যান নিয়ে যাতায়াতে খুবই অসুবিধা হয়। সামান্য ভুলে ভারসাম্যে সমস্যা হয়। খন্দে ভরা এই রাস্তা দিয়ে গড়িয়া-বারুইপুর বাইপাসের কাজের জন্য অহরহ নির্মাণ সামগ্রী বোঝাই লরি যাতায়াত করত। অভিযোগ, এর ফলে রাস্তার হাল আরও খারাপ হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা অঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘বর্ষার সময়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। দশ টাকার জায়গায় কুড়ি টাকা দিলেও রিকশা যেতে চায় না।” সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে খবর, এই রাস্তার উন্নয়নের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাপরিষদের পূর্ত বিভাগ প্রায় ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। রাস্তাটি ২০ ফুট চওড়া করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের অরিজিৎ বিশ্বাস বলেন, “রাস্তাটি সাড়ে বারো ফুট চওড়া করে পিচ হবে। দু’পাশে তিন ফুট করে জায়গা ছাড়া থাকবে।” যদিও এলাকার বাসিন্দারা জানান, অনেক বার রাস্তা সারানোর কথা শুনেছি। কয়েক বার মাপজোকও হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।
সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের ভাস্কর চক্রবর্তীর কথায়: “দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের আবু তাহের সর্দার বলেন, “রাস্তা সারনোর যাবতীয় প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে। কাজ শুরু হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায়।”

ছবি: পিন্টু মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.