দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
অভিযোগ বোঝাপড়ার
সরে না আবর্জনা
দীর্য সময় ময়লা পড়ে থাকে। অভিযোগ, কাগজকুড়ানিদের সুবিধার জন্য কর্মীরা ময়লা তুলতে দেরি করেন। এই বোঝাপড়ার জন্য অর্থের বিনিময়ও হয়। এ ছবি হরিদেবপুর, বেহালা, ঠাকুরপুকুর এলাকার বিভিন্ন ভ্যাটের। অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিষয়টি নজরে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অজন্তা সিনেমা হল, বেহালা থানা, ট্রামডিপো, ঠাকুরপুকুরের স্টেটব্যাঙ্ক, বিবেকানন্দ কলেজ, ‘থ্রিএ’ বাসস্ট্যান্ড ও সংলগ্ন এলাকা, হরিদেবপুরের আদর্শনগর কলোনি, তারামণিঘাট রোড, জীবনমোহিনী ঘোষ মার্কেট, কেওড়াপুকুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ ক্ষণ ভ্যাট পরিষ্কার হয় না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভ্যাটের সামনে অনেক সময় দীর্ঘ ক্ষণ লরি দাঁড়িয়ে থাকে। কাগজকুড়ুনিরা আবর্জনা থেকে জিনিস বেছে নেওয়ার পরে লরিতে আবর্জনা তোলার কাজ শুরু হয়।
এলাকার বাসিন্দা পুলক মুখোপাধ্যায়ের কথায়: “আবর্জনাবহনকারী লরির চালক এবং খালাসিরা কাগজকুড়ানিদের জন্য অপেক্ষা করেন। অর্থের বিনিময়ও হয়। অনেক সময় এক-দু’ দিনও ভ্যাট পরিষ্কার হয় না। ভ্যাট উপচে আবর্জনা রাস্তায় চলে আসে।” পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগ সূত্রে খবর, ময়লা তোলার গাড়ি ও কর্মীদের ঠিকাদাররা নিয়োগ করেন। পুরসভার সঙ্গে ঠিকাদারদের চুক্তি হয়। টনের হিসেবে লরিতে মাল তোলা হয়। অভিযোগ, অনেক জায়গায় কাগজকুড়ানিদের সঙ্গে কিছু কর্মীর অলিখিত বোঝাপড়া রয়েছে। তবে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করা কঠিন।
১৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের সুশান্ত ঘোষের কথায়: “এই রকম কোনও খবর আমার কাছে নেই। ময়লা তোলার কাজে যে সমস্ত লরি ব্যবহার কার হয় তাদের নির্দিষ্ট সময় দেওয়া রয়েছে। কোথাও হয়তো কিছু দেরি হচ্ছে। এ অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। তবুও আমরা নজর রাখব।” ১৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের মানিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাসিন্দাদের এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভ্যাটগুলিতে আবর্জনা জমে এমন অবস্থা হয় যে দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। ভ্যাট উপচে রাস্তায় আবর্জনা পড়ে থাকে। বাধ্য হয়ে তার উপর দিয়েই চলাচল করতে হয়।
মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ নজরে এলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলকাতার ভ্যাট থেকে নিয়মিত আবর্জনা তোলা হয়। দিনে দু’-তিন বার আবর্জনা তোলা হয়। তবুও সমস্যার প্রতি আমরা কড়া নজর রাখব।”

ছবি: অরুণ লোধ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.