দেড় বছর আগে শেষ হয়ে গিয়েছে বনগাঁ-চাকদহ সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। কিন্তু ওই কাজ চলাকালীন রাস্তার দু’ধার থেকে যে সব প্রাচীন গাছ কাটা হয়েছিল, তার পরিবর্তে নতুন করে এখনও কোনও চারা লাগানো হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের। গাছ লাগানোর দাবিতে শুক্রবার বনগাঁ ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মিছিল হল। আইনজীবীদের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষ, ছাত্রছাত্রী, বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের প্রতিনিধিরাও মিছিলে সামিল হন। বনগাঁ মহকুমা আদালত চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়। শেষ হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সামনে। মিছিলে প্ল্যাকার্ড, পোস্টারে গাছ লাগানোর দাবি তোলা হয়। পথচারীদের থেকে এ ব্যাপারে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। প্রতীকি প্রতিবাদ হিসেবে ওই সড়কের ধারে আইনজীবীরা কৃষ্ণচূড়া-মেহগনির বেশ কিছু চারা পোঁতেন। মহকুমাশাসকের দফতরে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। |
বনগাঁ ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দাস বলেন, “ওই সড়ক সম্প্রসারণের সময়ে কর্তৃপক্ষের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল একটি গাছ কাটা হলে ৫টি চারা লাগানো হবে। কিন্তু আজও তা হয়নি। আমাদের দাবি, দ্রুত ওই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ করিডর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের পূর্ত দফতর ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে নদিয়ার চাকদহের চৌমাথা থেকে বনগাঁর মিলিটারি রোড পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে। এ জন্য ওই রাস্তার দু’ধারের প্রায় ৬ হাজার গাছ কাটা পড়ে। সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয় ২০১০ সালের শেষ দিকে। কিন্তু পূর্ত দফতরের তরফে কোনও গাছ লাগানো হয়নি। পূর্ত দফতরের বারাসত-২ ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার মুস্তাফা কামাল বলেন, “বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মহকুমাশাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”
পূর্ত দফতরের উদ্যোগে গাছ লাগানো না হলেও বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে কিছু দিন আগে শ’দুয়েক গাছের চারা লাগানো হয় ওই সড়কের দু’ধারে। কিন্তু এখন সেই সব চারারও আর অস্তিত্ব নেই। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্য বলেন, “ওই সড়কের দু’ধারে সৌন্দর্যায়নের জন্য গাছ লাগানোর ব্যাপারে পূর্ত দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওরা গাছ না লাগালে পুরসভাই উদ্যোগী হবে।” |